हिंदी में पढ़ें
This Article is From Dec 11, 2019

CAB-র পক্ষে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে শিবসেনা ভোট দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সনিয়া গান্ধি!

Citizenship Bill: শিবসেনা লোকসভায় নাগরিকত্ব বিলকে সমর্থন জানানোয় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সভানেত্রী, মহারাষ্ট্রে জোট ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে সংকটের সময় কংগ্রেস সভানেত্রী শিবসেনার পাশে দাঁড়ান Sonia Gandhi

Highlights

  • নাগরিকত্ব বিল নিয়ে শিবসেনার সমর্থনে ক্ষুব্ধ সনিয়া গান্ধি
  • লোকসভায় ওই বিলের পক্ষে ভোট দেয় উদ্ধব ঠাকরের দল
  • এরপরেই শিবসেনা নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দেয় কংগ্রেস
নয়া দিল্লি:

এবার কী তবে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় থাকা শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট ভাঙার অশনি সংকেত দেখা গেল? শোনা যাচ্ছে যে, তাঁদের জোটসঙ্গী শিবসেনা (Shiv Sena) লোকসভায় নাগরিকত্ব বিলকে (Citizenship Bill) সমর্থন জানানোয় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে জোট ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারেও নাকি শিবসেনাকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি (Sonia Gandhi)। কংগ্রেস বলেছে যে শিবসেনার এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছে দল, প্রয়োজনে মহারাষ্ট্রে সরকার থেকে বেরিয়ে আসতেও পারে তাঁরা, কেননা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিত্ব নিয়ে তাঁদের কোনও মাথাব্যথা নেই। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসে উদ্ধব ঠাকরের দল। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) লোকসভায় যা ঘটে ছিল তা ভুলে যান, দেখুন রাজ্যসভায় শিবসেনা কী করে।

এর আগে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিরোধিতারই ইঙ্গিত দিয়েছিল শিবসেনা, কিন্তু পরে লোকসভায় ভোটাভুটি চলাকালীন অবস্থান পরিবর্তন করে তাঁরা, সমর্থন জানায় ওই বিলকে। অথচ এর আগে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেন যে বিলের মধ্যে থাকা বিষয়গুলি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাঁর দল এই বিলের সমর্থন করবে না। সংবাদমাধ্যমের সামনে ঠাকরে বলেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত কিছু বিষয় পরিষ্কার না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা এই বিলটিকে সমর্থন করব না। এই বিলের কারণে যদি কোনও নাগরিককে ভয় পেতে হয় তবে তাঁর সন্দেহ দূর করা উচিত। তাঁরাও আমাদের নাগরিক, সুতরাং তাঁদের প্রশ্নেরও উত্তর দেওয়া উচিত"। যদিও পরে দেখা যায় ওই বিলকে সমর্থন করে শিবসেনা।

দেশের স্বার্থেই সমর্থন: নাগরিকত্ব বিল নিয়ে রাতারাতি অবস্থান বদলে সরকারকে সমর্থন শিবসেনার!

Advertisement

অথচ এর আগে শিবসেনার মুখপত্র সামনায় বিলটি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা হয়। এই বিলটির মাধ্যমে আসলে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে "অদৃশ্য বিভাজন" তৈরি করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার, বলা হয় সামনার সম্পাদকীয়তে। পাশাপাশি হিন্দু অবৈধ অভিবাসীদের "নির্বাচিত গ্রহণযোগ্যতা" তৈরি করে অর্থাৎ তাঁদের নাগরিকত্ব দিয়ে দেশে ধর্মীয় যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরির জন্যে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলল উদ্ধব ঠাকরের দল।

ভোটের অভিমুখ বদলে যেতে পারে, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ইঙ্গিত শিবসেনার

Advertisement

"ভারতে এমনিতেই এখন সমস্যার কোন অভাব নেই, তার মধ্যে আবার আমরা সিএবির মতো নতুন এক সমস্যাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। দেখে মনে হচ্ছে কেন্দ্র আসলে এই বিলের মাধ্যমে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে এক অদৃশ্য বিভাজন তৈরি করছে", বলে শিবসেনা। কিন্তু এত কিছুর পরেও কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় সেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকেই সমর্থন করেছে তাঁরা।

রাজ্যসভায় দলটি এই বিলটি সমর্থন করবে কিনা সে বিষয়ে শিবসেনার সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে, একটি বিষয়ে আমাদের কি আলাদা ভূমিকা থাকবে? শিবসেনা জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবেই ওই সমর্থন করেছে, যুক্তি তাঁর। কংগ্রেসের সঙ্গে নূন্যতম অভিন্ন কর্মসূচি কেবল মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, এ কথাও জানান তিনি।

Advertisement

নজর রাখুন এই খবরেও:

  .  
Advertisement