This Article is From May 22, 2020

প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজ 'দেশের দরিদ্রদের নিয়ে নির্মম মস্করা': বিরোধীদের বৈঠকে সনিয়া গান্ধি

কংগ্রেস সভাপতি সরকারের কোভিড প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “সমস্ত ক্ষমতা এখন একটা অফিসে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, পিএমও অফিস।"

প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজ 'দেশের দরিদ্রদের নিয়ে নির্মম মস্করা': বিরোধীদের বৈঠকে সনিয়া গান্ধি

সনিয়া জানান, অভিবাসী শ্রমিক ছাড়াও যারা “নির্মমভাবে অবহেলিত হয়েছেন” তাদের মধ্যে রয়েছে ১৩ কোটি পরিবার

নয়াদিল্লি:

করোনা ভাইরাস সংকট নিয়ে আলোচনা করতে বিরোধী দলগুলির আজ প্রথম অনলাইনে বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধি জানান, কেন্দ্র সরকার এখন গণতান্ত্রিক হওয়ার ভানটুকুও করা ছেড়ে দিয়েছে, দরিদ্রদের প্রতি কোন সমবেদনা নেই এই সরকারের এবং সংস্কারের নামে ‘সরকারি ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণে' উঠে পড়ে লেগেছে। কংগ্রেস সভাপতি সরকারের কোভিড প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “সমস্ত ক্ষমতা এখন একটা অফিসে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, পিএমও অফিস।"

অর্থনীতি ‘মারাত্মক পঙ্গু' হয়ে গিয়েছে এ কথার উল্লেখ করে কংগ্রেস প্রধান বলেন যে, বিখ্যাত সমস্ত অর্থনীতিবিদ তাত্ক্ষণিকভাবে একটি বিশাল আর্থিক প্যাকেজের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তবে “প্রধানমন্ত্রীর ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা- এবং পরের পাঁচ দিনের অর্থমন্ত্রীর বিশদ বিবরণ ঘোষণা” দেশের জন্য নির্মম পরিহাস হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

জুম সম্মেলনে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবে গৌড়া। তবে অনুপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

সনিয়া গান্ধি সরকারের করোনাভাইরাস মোকাবিলার কৌশলের প্রতি কটূক্তি করে বলেন, “ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ২১ দিনে শেষ হয়ে যাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক যে আশা করেছিলেন তা একেবারেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন তো মনে হচ্ছে ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত ভাইরাস এখান থেকে নির্মূল হবে না। আমিও মনে করি যে সরকার লকডাউনের মানদণ্ড সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল না, এমনকি কীভাবে লকডাউন উঠবে সে নিয়েও কোন কৌশল নেই।”

তিনি জানান, অভিবাসী শ্রমিক ছাড়াও যারা “নির্মমভাবে অবহেলিত হয়েছেন” তাদের মধ্যে রয়েছে ১৩ কোটি পরিবার যা জনসংখ্যার গোড়ার অর্ধেক। এতে প্রান্তিক কৃষক এবং ভূমিহীন কৃষি শ্রমিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন; দিনমজুর বা অপ্রশিক্ষিত কর্মীরা রয়েছেন; দোকানদার এবং স্ব-কর্মসংস্থানে নিযুক্তরা আছেন; MSME এবং সংগঠিত শিল্পও রয়েছে।

“বর্তমান সরকারের যে সমাধান জানা নেই এই বিষয়টা উদ্বেগজনক; কিন্তু দরিদ্র ও দুর্বলদের প্রতি সরকারের কোনও সহানুভূতি বা সহমর্মিতা নেই তা হৃদয় বিদারক,” বলেন সনিয়া গান্ধি।

উদ্ধব ঠাকরে, যার শিবসেনা ৩৫ বছর ধরে বিজেপির মিত্র থাকলেও মহারাষ্ট্রকে শাসন করার জন্য এনসিপি ও কংগ্রেসের সাথে জোটবদ্ধ হয়েছে, তাঁর এটিই ছিল প্রথম বিরোধী সভা।

.