தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jun 01, 2019

ছেলে রাহুল না মা সোনিয়া, কাকে সংসদীয় দলনেতা বাছবে কংগ্রেস?

বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসকে।  অন্যদিকে আবারও কংগ্রেস সহ সমস্ত বিরোধীদের পরাজিত করে জিতেছে বিজেপি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

বিভিন্ন আলোচনায় বারবার রাহুল জানিয়েছেন সভাপতি পদে থাকবেন না

Highlights

  • কংগ্রেস সহ সমস্ত বিরোধীদের পরাজিত করে জিতেছে বিজেপি
  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নতুন সরকারও তৈরি হয়েছে
  • প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আজ সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করবে কংগ্রেস
নিউ দিল্লি:

দলের প্রচার ব্যর্থ হয়েছে। ফের বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসকে।  অন্যদিকে আবারও কংগ্রেস সহ সমস্ত বিরোধীদের পরাজিত করে জিতেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) নেতৃত্বে নতুন সরকারও তৈরি হয়েছে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও (Swearing In Ceremony) সম্পন্ন ইতিমধ্যেই। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আজ সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করবে কংগ্রেস,। গত ৫ বছর এই দায়িত্ব সামলেছেন কর্নাটকের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge )। এবার তিনিও জিততে পারেননি। নতুন নেতাকে হবেন তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। কংগ্রেস সভাপতি (Congress President) রাহুল গান্ধী না ইউপিএ চেয়ারপার্সন (UPA Chairperson) সোনিয়া গান্ধীকে  (Sonia Gandhi) এই দায়িত্ব নেবেন তা নিয়ে চর্চা চলছে।  নেতা ঠিক করতে আজ বৈঠক হবে।

ঠিক এক সপ্তাহ আগে কংগ্রেস আরও একটি বৈঠক করেছিল। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি সেদিন নির্বাচনে বিপর্যয়ের ময়না তদন্ত করতে বসেছিল। আর সেখানেই পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন রাহুল। সর্বসম্মতভাবে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু গত এক সপ্তাহে রাহুলের অবস্থান বদল হয়নি।

বিভিন্ন আলোচনায় বারবার তিনি জানিয়েছেন সভাপতি পদে থাকবেন না। ভোটের ফল প্রকাশের দিন কংগ্রেস দপ্তরে সাংবাদিকদের রাহুল বলেছিলেন, ‘এই হারের সম্পূর্ণ দায় আমার। ' সেদিন অবশ্য পদত্যাগ করবেন কিনা সে কথা বলেননি। এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন তাঁর যা বলার তা কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটিতে জানাবেন। গত শনিবার নিজের পত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাহুল। দলের হারের সঙ্গে সঙ্গে এবার নিজের দেড় দশকের কর্মভূমি উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে পরাজিত হয়েছেন সভাপতি।  তাঁকে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক পেয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভার অন্যতম আলোচিত সদস্য স্মৃতি ইরানি।

Advertisement

গত এক সপ্তাহে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। কিন্তু সূত্র বলছে সোমবার সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেল এবং দক্ষিণ ভারতের  কংগ্রেসের বড় নেতা কে কে বেনুগোপাল ছাড়া আর কারও সঙ্গেই দেখা করেননি রাহুল। বিভিন্ন রাজ্যের নেতারাও রাহুলকে পদে পদে থেকে আর্জি জানিয়ে প্রস্তাব পাস করেছেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও পদে থাকতে চাইছেন না তিনি। এমতাবস্থায় সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়া হবে কিনা সেটাই জানা যাবে আজ।

 বস্তুত গত এক সপ্তাহে খুব বেশি বার প্রকাশ্যে আসেননি কংগ্রেসের সভাপতি। মাঝে একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট হয়। তাতে  দেখা যায় রাহুল গাড়ি চালাচ্ছেন সঙ্গে রয়েছে তাঁর কুকুরছানা। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর  শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মা সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেসের অন্য নেতাদের পাশেই দেখা যায় রাহুলকে।

Advertisement

নয়ের দশকের একদম শেষে এভাবেই নেতৃত্বের সংকট তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসে। সীতারাম কেশরির জায়গায় কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই তিনি ইস্তফার  দেন। কংগ্রেসের তৎকালীন বড় নেতা  শরদ পাওয়ার,  পি এ সাংমা এবং তারিক আনোয়ার সোনিয়ার সভাপতি হওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁদের মনে হয়েছিল তিনি বিদেশিনী তাই তাঁর সভাপতি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু গোটা দেশের কংগ্রেস কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি হতে থাকে। এরপর নিজের সিদ্ধান্ত বদলান সোনিয়া। দীর্ঘদিন সভাপতি পদে থাকেন তিনি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে নতুন সভাপতি হিসেবে রাহুল গান্ধীকে বেছে নেয় কংগ্রেস। এবার নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর তিনিও পদে থাকতে রাজি নন

Advertisement