শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন সনিয়া গান্ধি।
হাইলাইটস
- সিএএ'র উদ্দেশ্য ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করা, অভিযোগ সনিয়া গান্ধির
- কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই অভিযোগ করেন তিনি
- এন পি আর নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি
নয়াদিল্লি: সিএএ'র (CAA) উদ্দেশ্য দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন। শনিবার এমন অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi)।এদিন সিএএ'র প্রতিবাদ কৌশল ঠিক করতে ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) বৈঠক ডেকেছিলেন ওই দলের শীর্ষ নেত্রী। বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি তাঁর বার্তা, 'সিএএ আইন বিভেদ ও বিভাজনের (divisive)। এর পিছনে যে কু-অভিসন্ধি তা স্পষ্ট। ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ (Secular), সহিষ্ণু ও দেশপ্রেমী মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত করা। এই আইনের বিরোধিতা করা পথে নামা পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে তিনি বলেছেন, ছাত্র ও যুব সমাজ আন্দাজ করতে পেরেছে সিএএ থেকে কী বিপদ আসতে চলেছে। তিনি বলেন, 'কয়েকটা রাজ্যের পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক। পুলিশি অতি-সক্রিয়তা এবং দমন-পীড়নের মাধ্যমে আমাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনা জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হয়েছে।
সেই বৈঠকে তিনি দাবি করেছেন, কংগ্রেস চায়, একটা উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময় প্রতিবাদীদের ওপর হওয়া দমন-পীড়নের তদন্ত করুক। আক্রান্তরা ন্যায় পাক। দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী বলেছেন, সতর্ক থাকুন এনপিআর, আদতে এনআরসি -র প্রথম ধাপ। ছদ্মবেশে এটা, এনআরসি রূপায়ণে সাহায্য করবে। দেশব্যাপী চলা আর্থিক মন্দা এবং জম্মু কাশ্মীরে চলা 'অচলাবস্থা' নিয়েও কেন্দ্রকে এদিন আক্রমণ করেন সনিয়া গান্ধি।
তিনি বলেছেন, এটা অত্যন্ত রাগ এবং উদ্বেগের কারণ। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে মিথ্যা দাবি করা হচ্ছে সব স্বাভাবিক। বিদেশী কূটনীতিকদের এনে উপত্যকা ঘোরানো হচ্ছে।