Congress President: কংগ্রেসের ১৩৪ বছরের পুরনো ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দলের শীর্ষ পদে রয়েছেন সনিয়া গান্ধি
হাইলাইটস
- কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কংগ্রেসের শীর্ষ পদ নিয়ে
- দলের অনুরোধ মেনে ফের একবার সভাপতি পদে ফিরে আসতে পারেন রাহুল গান্ধি
- স্বাস্থ্যের কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর পদ ছাড়তে চান সনিয়া গান্ধি
নয়া দিল্লি: সনিয়া গান্ধি, আপাতত কংগ্রেস দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি, কিন্তু আর কতদিন? তিনিই (Sonia Gandhi) কি কংগ্রেস সভানেত্রী পদে থেকে দলের নেতৃত্বভার সামলাবেন, নাকি দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দলের (Congress) নেতৃত্বে দেখা যাবে কোনও নতুন মুখ? নাকি ফের একবার দলের দায়িত্বে ফিরবেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) ? এমন অনেক প্রশ্ন এখন কংগ্রেসের অন্দরমহলে ঘোরাফেরা করছে। দলের একটি সূত্র NDTV-কে জানিয়েছে, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের (Congress President) বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দলের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেই। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হতে চলেছে ওই অধিবেশন, মনে করা হচ্ছে তারপরেই কংগ্রেস পাকাপাকিভাবে দলের শীর্ষপদে কোনও নেতাকে পাবে।
রাহুল গান্ধি ফের কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেবেন কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়, লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায়স্বীকার করে দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। সনিয়া পুত্র কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সনিয়া গান্ধি। তবে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন অনেকদিনই। এদিকে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনেও দেখা গেছে কংগ্রেসের ভরাডুবি। এরপর পাকাপাকিভাবে দলের এক শীর্ষ মুখের জন্যে দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
দিল্লিতে হাসপাতালে ভর্তি সনিয়া গান্ধি: সূত্র
কংগ্রেস, যে দল একসময় দিল্লিতে টানা তিন মেয়াদে রাজত্ব করেছে, সেই দলই ২০১৫ সাল থেকে সেখানে একটি আসনও জিততে ব্যর্থ হয়েছে। এবারও শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে দলকে, শুধু তাই নয়, দলের ৬৩ জন প্রার্থী বাধ্যতামূলক ন্যূনতম সংখ্যায় জিততে না পারায় তাঁদের আমানতও জব্দ হয়েছে। ফলে একবারে ল্যাজে গোবরে ওই দল।
এর আগে গত লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশেই অত্যন্ত খারাপ ফল করে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধি নিজে কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত আমেঠিতে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান। যদিও কেরলের ওয়ানাড কেন্দ্র থেকে জিতে কিছুটা হলেও মুখ রক্ষা করেন সনিয়া পুত্র। এরপরেই রাহুল অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন কংগ্রেসের এই হারের দায় কোনো নেতাই নিতে আগ্রহী নন। তাই তিনিই কংগ্রেসের খারাপ ফলের দায় নিয়ে গত ২৫ মে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন।
সিএএ'র উদ্দেশ্য দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করা, অভিযোগ সনিয়া গান্ধির
এর আগে টানা ১৯ বছর ধরে দলের সভানেত্রী পদে দায়িত্ব সামলেছেন সনিয়া গান্ধি। বয়সের কারণে ক্রমশই কমছিল তাঁর গ্রহণযোগ্যতা, তাই তাঁর জায়গায় দলের শীর্ষ পদে আসেন রাহুল। তবে লোকসভা নির্বাচনের পর তিনি দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিলে বিপাকে পড়ে কংগ্রেস। বাধ্য হয়েই তাই ফের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হিসাবে দলের দায়িত্ব নেন সনিয়া গান্ধি। কংগ্রেসের ১৩৪ বছরের পুরনো ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দলের শীর্ষ পদের দায়িত্বে রয়েছেন সনিয়া গান্ধি।