This Article is From Jun 17, 2020

লাদাখ পরিস্থিতি সম্বন্ধে দেশকে অবগত করুক প্রধানমন্ত্রী: সনিয়া গান্ধি

এই পরিস্থিতিতে তাঁর দল সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গেই আছে। এমনটাও ওই ভিডিওতে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী

এলএসি'র পরিস্থিতি কী। দেশকে জানান প্রধানমন্ত্রী: সনিয়া গান্ধি

নয়াদিল্লি:

এলএসি-তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে দেশকে পরিস্থিতি জানাক প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সরব হয়ে এমন দাবি করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী (Sonia Gandhi on Indo-China standoff) এদিন কংগ্রেসের তরফে একটা তিন মিনিটের ভিডিও সরকারি টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে তিনি প্রশ্ন (Congress president asked to PM) করেন, "কী করে চিন ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করলো? আর কেন মাথার ২০ জন সেনা জওয়ান শহিদ হলেন? উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসে দেশকে প্রকৃত পরিস্থিতি জানা প্রধানমন্ত্রী।" তবে, এই পরিস্থিতিতে তাঁর দল সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গেই আছে। এমনটাও ওই ভিডিওতে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি জানতে চেয়েছেন, এলএসি'র (LAC) প্রকৃত পরিস্থিতি কী? তাঁর প্রশ্ন, "এখনও কি আমাদের সেনা জওয়ান কিংবা তাঁদের কমান্ডার নিখোঁজ? ওরা কি গুরুতর জখম? কতটা জায়গা অধিগ্রহণ করেছে চিন এবং ঠিক কোন জায়গা অধিগ্রহণ করেছে? সরকারের পরিকল্পনা, কৌশল আর ভাবনা কী?" তবে কেবল সনিয়া গান্ধি নিয়ে ইন্দো-চিন সংঘাত প্রশ্নে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধিও।

এর আগেও প্রধানমন্ত্রী নীরবতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার এবিষয়ে টুইটে তিনি লিখলেন, "কেন প্রধানমন্ত্রী চুপ করে রয়েছেন? কেনই বা তিনি লুকোতে চাইছেন? অনেক হয়েছে। এবার আমরা জানতে চাই যে ওখানে ঠিক কী ঘটছে। আমাদের সেনা জওয়ানদের হত্যা করার স্পর্ধা হয় কী করে চিনের? কোন স্পর্ধায় আমাদের জমি নিয়ে নেয় চিন?" দেখুন তাঁর টুইট:

লাদাখে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের জীবন বৃথা যাবে না। অবশেষে মুখে খুলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিনকে কড়া বার্তা পাঠাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত শান্তি চায়। কিন্তু প্ররোচনা দিলে উপযুক্ত জবাব দিতে পারে ভারত।" তিনি জানিয়েছেন, দেশ শহিদ জওয়ানদের প্রতি গর্বিত। চিনের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা।" এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রস্তাবিত বৈঠক ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেই বৈঠকের আগে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দু'মিনিট নীরবতা পালন করা সয়। এমনটাই পিএমও সূত্রে খবর। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি আশ্বাস দিতে চাই শহিদদের জীবন বৃথা যাবে না।

সার্বভৌমত্ব আর একতা এখন আমাদের প্রাধান্য।" ইতিমধ্যে ১৯ জুন বিকেল পাঁচটায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী। লাদাখ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সেই বৈঠক হবে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান সেই বৈঠকে অংশ নেবেন।

সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সীমান্ত এলাকায়। ওই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সব মিলিয়ে ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনা এখন চরমে পৌঁছেছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে প্রথমে একজন কর্নেল ও দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং "উভয় পক্ষেই বেশ কিছু সেনা হতাহত" হয়েছে একথা বলা হয়। পরে আবার নতুন এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, আশঙ্কাজনক আরও ১৭ জনেরও মৃত্যু হয়েছে।

.