দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) দুর্দশা দেখে যেন চোখে জল গোটা দেশের। ঘর ছেড়ে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া (Coronavirus Lockdown) এমন হাজার হাজার পরিযায়ীদের সাহায্যে আগেই যথা সম্ভব ফেরার বাস এবং খাবারের বন্দোবস্ত করেছিলেন বলিউডের অভিনেতা সোনু সুদ। এবার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকে ওড়িশার মহিলা পরিযায়ীদের দুর্দশার কথা শুনে ফের তৎপর হলেন তিনি (Sonu Sood)। করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে কেরলে আটকে থাকা ১৭৭ জন পরিযায়ী মহিলা শ্রমিককে নিজেদের রাজ্যে ফেরার জন্যে বিশেষ বিমানের (Sonu Sood Arranges Flight) ব্যবস্থা করলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ওই মহিলারা কেরলেন এর্নাকুলামে আটকে ছিলেন। এবার সোনুর সহায়তায় বিশেষ চার্টার্ড বিমানে করে ঘরে ফিরলেন তাঁরা।
ওই ১৭৭ জন মহিলা কোচির একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন, তাঁরা সেখানে সেলাই-ফোঁড়াইয়ের কাজ করতেন। COVID-19 -এর বিস্তার রোধে লকডাউন জারি করায় ওই সূচিকর্মের কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়, ফলে রীতিমতো পথে বসেন তাঁরা। ভুবনেশ্বরের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকে ওই মহিলা শ্রমিকদের দুর্দশার বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের ফেরার জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করে দেন সোনু সুদ। যাঁরা কাজ হারিয়ে পথে বসেছিলেন সেই মহিলাদের মুখে এক অনাবিল হাসি আর চোখে অবিশ্বাসের স্বপ্ন ছিল যখন তাঁরা আকাশপথে ফিরে এলেন ভুবনেশ্বরে।
অভিনেতার এই উদ্যোগের তারিফ করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ অমর পট্টনায়েক। তিনি টুইট করেন,"সোনু সুদ জি, ওড়িশার মহিলাদের কেরল থেকে নিরাপদে ফিরে আসতে সাহায্য করেছেন, আপনার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আপনার মহৎ প্রচেষ্টাকে কুর্ণিশ। আপনি যেভাবে অভাবীদের নিরাপদে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছাতে সহায়তা করছেন তা একরকম অবিশ্বাস্য! আপনার আরও সমৃদ্ধি হোক"।
মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে আরও অনেকেই প্রশংসা করেছিলেন "সিম্বা" অভিনেতার। অনেকেই সোনু সুদকে রীতিমতো বীর বলে সম্বোধন করেন।
অভিনেতা সোনু সুদ এর আগে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকদের ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরার চেষ্টা দেখে আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল। এই মানুষেরাই তো আমাদের বাড়ি, আমাদের অফিস তৈরি করেছেন, আর এখন সেই তাঁরাই পথে বসেছেন। আমি মনে করি যে আমাদের এ জাতীয় সঙ্কটে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত"।