সুমন সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের বিমান থেকে বের করে হাসপাতালে পাঠানো হয়
হাইলাইটস
- বিমান কর্মীদের থেকে খবর পেয়ে এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলট
- বিমান থেকে নামার পর প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুমনকে
- পরে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন
কলকাতা: শরীরে সমস্যা থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল ১৬ বছরের ছেলেটা। কিন্তু কলকাতা থেকে বিমানে উঠতেই সংজ্ঞা হারাল সে। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সব শেষ। কলকাতার বাসিন্দা সুমনের শরীর কয়েকদিন ধরেই একদম ভাল যাচ্ছিল না। তাই পরিবারের তরফে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো বৃহস্পতিবার বিমান ধরে পরিবার। টেক অফের জন্য দৌড় শুরু করতেই বিপত্তি দেখা দেয়। পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন সুমন সংজ্ঞা হারিয়েছে। বিমান কর্মীদের থেকে খবর পেয়ে এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলট। নির্দিষ্ট সংকেত পেয়ে আগের জায়গায় বিমানটিকে ফিরিয়ে আনেন তিনি। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই সুমন সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের বিমান থেকে বের করে আনা হয়। সেখান থেকে প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুমনকে। পরে সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হয় পরিবার। সেখানেই প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা সুমনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শীতের বিষাদবেলায় প্রয়াত দিব্যেন্দু পালিত
এই ঘটনায় বিমানবন্দরের আধিকারিকদের ভূমিকা ঘিরে কয়েকটি প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ ভাবে কোনও যাত্রী শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও যদি বিমানে উঠতে চান তাহলে তাঁকে কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষায় দিতে হয়। সেই পরীক্ষায় কোনও রকম গোলমাল ধরা পড়লেই যাত্রা বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু শরীর ভাল না থাকা সত্ত্বেও কী করে সুমনকে বিমান যাত্রার অনুমতি দেওয়া হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া এ প্রসঙ্গে মাত্র কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথাও উঠে আসছে।
প্রয়াত পিনাকী ঠাকুর, নির্জনের কবি যাত্রা করলেন চিরন্তন মৌনের উদ্দেশে
বিমান বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে গত ২২ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বছর তিরিশের এক ব্যক্তি। পরিস্থিতি গুরুতর বুঝে বিমানের গতিপথ বদলে ওড়িশার ভূবনেশ্বর নিয়ে যান পাইলট। সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তবে তাঁর প্রাণ বাঁচানো যায়নি। ফেলে আসা বছরের সেই ঘটনার স্মৃতি ফিরে এল নতুন বছর শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।