তাঁর রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়াকে নিশানা করেছে বিজেপি।
হাইলাইটস
- কেন্দ্র রায়বরেলী থেকে লোকসভা ভোটে লড়তে দেখা যেতে পারে প্রিয়াঙ্কাকে
- তবে এ ব্যাপারে কংগ্রেসের কোনও নেতাই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ
- খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি বলেছেন সেটা তাঁর নিজের ব্যাপার
নিউ দিল্লি: তাঁর সংগঠনে আসা চূড়ান্ত হয়েছে ইতিমধ্যে। সূত্র বলছে নির্বাচনে লড়তেও দেখা যেতে পারে তাঁকে। কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে পরের মাসের ১ তারিখ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া। আপাতত পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নেবেন তিনি। আর এবার শোনা যাচ্ছে ভোটেও লড়তে পারেন তিনি। মা সোনিয়া গান্ধীর কেন্দ্র রায়বরেলী থেকে লোকসভা ভোটে লড়তে দেখা যেতে পারে তাঁকে। তবে এ ব্যাপারে কংগ্রেসের কোনও নেতাই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং আমেঠি- এই দুটি লোকসভা কেন্দ্র চিরকাল গান্ধী পরিবারের দখলে থেকেছে। শেষ কয়েকটি নির্বাচনে রায়বরেলী থেকে জিতছেন সোনিয়া। এবার দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে জোট করে ভোট লড়ছে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজপার্টি। তারাও এই দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখতে চলা প্রিয়াঙ্কা কি ভোটে লড়বেন? এ প্রশ্নের জবাবে খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি বলেছেন সেটা তাঁর নিজের ব্যাপার।
দীর্ঘ দিন ধরেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সক্রিয় রাজনীতিতে নিয়ে আসার দাবি উঠছিল দলে। অনেকেই মনে করেছিলেন তাঁর সঙ্গে ঠাকুমা ইন্দিরার বেশ মিল আছে। তাই সেই ক্যারিশমাকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহারের দাবি উঠছিল দলের অন্দরে। এবার তা মেনে নেওয়া হল।
এতদিন নেপথ্যেই থেকেছেন প্রিয়াঙ্কা। নিজের মা ও দাদার লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করেছেন। কিন্তু দলের অন্দরে সক্রিয়-ই ছিলেন তিনি। সম্প্রতি ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে জয় পায় কংগ্রেস। এই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনেও ভূমিকা নেন প্রিয়াঙ্কা। এছাড়া ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির জোটেও ভূমিকা ছিল তাঁর।
এদিকে তাঁর রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়াকে নিশানা করেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেছেন এর থেকে প্রমাণ হয়ে যায় সভাপতি হিসেবে রাহুল গান্ধী ব্যর্থ। তাঁর একটি অবলম্বন প্রয়োজন। আর তাই প্রিয়াঙ্কাকে সংগঠনে নিয়ে আসা হল।