গত দশকে ৮,০০০ এরও বেশি গণ্ডার নিহত হয়েছে
গণ্ডার শিকার করতে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে (Kruger National Park in South Africa) ঢুকেছিলেন পাঁচজন সন্দেহভাজন শিকারী (suspected poachers)। যদিও জ্যান্ত ফিরে এসেছেন মাত্র ৪। পঞ্চম সদস্যকে পিষে মেরে ফেলেছে ঐ জঙ্গলেরই একটি হাতি, এবং পরে গণ্ডার শিকার করতে আসা মৃত ওই শিকারীর দেহ চেটেপুটে খেয়েছে ওই জঙ্গলেরই একদল সিংহ। ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের ব্যবস্থাপনা নির্বাহী গ্লেন ফিলিপস বলেন, “অবৈধভাবে এবং পায়ে হেঁটে ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক প্রবেশ করা বুদ্ধিমানের বিষয় নয়, এতে অনেক বিপদ রয়েছে এবং এই ঘটনাটি এরই প্রমাণ।"
পার্কের বিবৃতিতে বলা হয়, চারজন অভিযুক্ত শিকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আদালতে হাজির করা হবে। শুক্রবার পর্যন্ত তারা হেফাজতে থাকবে। কর্তৃপক্ষ ওই পশুপাচারকারীর মৃত্যু ও অভিযানে থাকা অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাগৈতিকহাসিক তিমিরা কি চারপায়ে হেঁটে বেড়াত ভারত-পাকিস্তানে? আজব জীবাশ্ম উদ্ধার!
পুলিশ জানিয়েছে যে, হাতিটি হঠাৎই লোকটিকে হামলা করে হত্যা করে। ওই ব্যক্তির সহকর্মীদের দাবি, তাঁরা মৃত শরীরকে রাস্তার ধারে নিয়ে যায় যাতে যাত্রীরা সকালে তা খুঁজে পায়। এরপর পার্ক থেকে চম্পট দেয় তাঁরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল পার্কের এয়ার উইংয়ের ক্রু সহ একটি অনুসন্ধান দল বুধবার এলাকায় তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়েও ওই মানুষটিকে খুঁজে পাননি। তাঁরা বৃহস্পতিবার ফের তল্লাশি শুরু করলে কুমির নদী পাশে পার্কের কুমির সেতু এলাকায় ওই মানুষের দেহের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অংশ পান। ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক ওয়েবসাইটের (Kruger National Park website) মতে এই এলাকা সিংহের বসবাসের জন্য পরিচিত। গণ্ডারের জনসংখ্যার একটি বৃহত্তর শতাংশও রয়েছে এই পার্কেই।
সিংহেরা ওই পাচারকারীর সবটুকুই খেয়ে ফেলেছিল, বেঁচে ছিল শুধু মাথার খুলি এবং প্যান্ট টুকু। একটি বিবৃতিতে, ফিলিপস নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বাজারে আসছে ‘সম্মতি কন্ডোম'! দু'জনে রাজি হলে তবেই খুলবে কন্ডোমের প্যাকেট
অন্য সন্দেহভাজন শিকারীকে গ্রেফতার করা হলে, কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছ থেকে দু'টি .375 শিকারী রাইফেল ও গোলাবারুদ আটক করে। টাইমস লাইভ জানায়, লাইসেন্স ছাড়াই আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখা, পশুশিকার ও পাচারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা হল এই মহাদেশের মধ্যে গণ্ডারের সবথেকে বড় আবাসস্থল। আফ্রিকার ২৫ হাজার গণ্ডারের মধ্যে শুধু এখানেই রয়েছে ২০ হাজার। বিশ্বের গণ্ডারের জনসংখ্যার ৮০% রয়েছে এখানে।
যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে শিকারীর সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে, কিন্তু গত দশকে ৮,০০০ এরও বেশি গণ্ডার নিহত হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পশুপাচারের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। কেবল দক্ষিণ আফ্রিকাতেই ১,০০০ এরও বেশি গণ্ডার মারা যায়, বলছে সেভ দ্য রাইনোর (Save the Rhino) পরিসংখ্যান। এবং সেটাও বেশি হয়েছে এই ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কেই। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে দাঁড়ায় ৭৬৯-এ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)