"তারা ছাঁকনি চড়ে সাগর পাড়ি দেবে, দেবেই দেবে", পাপাঙ্গুলের মতো ছাঁকনি চড়ে আপনি সমুদ্রে ভাসার সুযোগ না পেলেও বেলুনে চড়ে (Balloon Ride) সাঁ করে মহাকাশে (Edge of Space) পাড়ি দিতে পারবেনই। ভাববেন না, কোনও স্বপ্নের কথা বলছি। এই কথাগুলো এখন স্বপ্নের মতো শোনালেও আর কিছুদিনের মধ্যেই সত্যি হতে চলেছে এটি। বেলুনে চড়ে মহাকাশ ভ্রমণের মতো আশ্চর্য কল্পনাকেই নাকি এবার বাস্তবে রূপ দিতে চায় ‘স্পেস পারস্পেকটিভ' (Space Perspective) নামের একটি বেসরকারি মার্কিন সংস্থা। CNN-এর খবর অনুযায়ী, বেলুনে করেই এবার পৃথিবী থেকে মহাকাশে যেতে পারবে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী মানুষ। 'স্পেসশিপ নেপচুন' নামে একটি উন্নত ধরণের বেলুন ব্যবহার করেই নাকি অসাধ্য সাধন করতে চায় ‘স্পেস পারস্পেকটিভ' সংস্থাটি।
দুঃসাহসিক! ইয়াব্বড় অ্যানাকোন্ডাকে নদী থেকে টেনে তোলার চেষ্টা যুবকের
জানা গেছে, ২০২১ সালের গোড়ার দিকেই পরীক্ষামূলকভাবে 'স্পেসশিপ নেপচুন' কে মহাকাশে পাঠাবে ওই মার্কিন সংস্থা।
ইভনিং স্টান্ডার্ডের খবর অনুযায়ী, আলাস্কার প্যাসিফিক স্পেসপোর্ট কমপ্লেক্স থেকেই এই উচ্চ-প্রযুক্তির বেলুনটিকে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা করা হবে।
সংস্থার ওয়েবসাইট অনুসারে, যেকোনও বাণিজ্যিক বিমানের উড়ানের চেয়ে তিনগুণ বেশি ওপরে মানুষকে নিয়ে যেতে পারবে এই বিরাট বেলুন। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১ লক্ষ ফুট উপরের দুনিয়া কেমন, সেই আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন বেলুনে সওয়ার যাত্রীরা। জানা গেছে, বিশাল ওই বেলুনে একসঙ্গে ৮ জন করে পর্যটক উঠতে পারবেন, যা ঘণ্টায় ১২ মাইল বেগে ধীর গতিতে উড়ে যাবে মহাশূন্যের দিকে। প্রায় ঘণ্টা ছয়েক ওই রোমহর্ষক ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা।
কার সঙ্গে চলে যাবে মা, জানতে বিবিসির ইন্টারভিউ থামালো খুদে! দেখুন ভিডিও
মহাকাশে বেলুনটি ঠিক আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে গিয়ে অবস্থান করবে। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে? সেজন্য যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য থাকবে একটি জাহাজ। জানা গেছে, অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকবে এই বেলুনে। বিশেষ করে একটি বার ও রেস্টরুমের ব্যবস্থাও করেছে স্পেস পারস্পেকটিভ।
নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে, বেলুনে চড়ে এই মহাকাশ উড়ানে কতটা গ্যাঁটের কড়ি খসাতে হবে? সংস্থাটি জানিয়েছে, এখনও ওই বেলুন সফরের টিকিটের দাম নির্ধারণ করেনি তারা, তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যাচ্ছে যে এক একটি টিকিটের দাম পড়বে প্রায় ১,২৫,০০০ ডলার ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯৩ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।