লোকসভাকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধিবেশন বানাবেন না, সাংসদদের অনুরোধ করলেন অধ্যক্ষ Om Birla
নয়া দিল্লি: "লোকসভাকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) পরিণত করবেন না", এমন শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব থামাতে এমন মন্তব্যই করতে শোনা গেল ওম বিড়লাকে। লোকসভায় চিটফান্ড আইনের (Chit Funds Act) সংশোধনী বিল নিয়ে জোর বাগযুদ্ধ বাঁধে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে, তখনই ওই কথা বলেন লোকসভার অধ্যক্ষ (Om Birla)। লোকসভায় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন যে "পুরো তৃণমূল কংগ্রেসই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্যেই বিনিয়োগকারীরা অর্থ ফেরৎ পারেননি", তারপরেই বিজেপি-তৃণমূল বাগযুদ্ধ শুরু হয় লোকসভার অধিবেশনে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না দিয়েই লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই যাঁরা দরিদ্র মানুষদের অর্থ নিয়ে চম্পট দিয়েছেন তাঁদের রক্ষা করছেন। ওই বিজেপি সাংসদ আরও অভিযোগ করেন যে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন চিটফান্ডের অর্থ সংগ্রহের ৪০ শতাংশ টাকা সেই এজেন্টদের হাতেই গিয়েছিল, যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সারদা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দিতে সিজিও কমপ্লেক্সে শোভন-বৈশাখী
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ওই অভিযোগ খারিজ করে দেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বিজেপি-তৃণমূল বাগযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভার অধিবেশন। দুই দলের সাংসদদের মধ্যে ঘটা বাগযুদ্ধ প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গেলে পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন লোকসভার অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষ ওম বিড়লা যুযুধান বিজেপি-তৃণমূল, উভয় পক্ষকেই "লোকসভাকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পরিণত না করে বিলের বিষয়ে কথা বলতে এবং বিলের বাইরে কোনও মন্তব্য নয়" বলে সতর্ক করেছিলেন।
রোজভ্যালি চিটফান্ডের তদন্তে ফের নবান্নে হানা দিল সিবিআই, ধরালো ২টি চিঠিও
চিট ফান্ড (সংশোধনী) বিল, ২০১৯ চলতি বছরের ৫ অগাস্ট লোকসভায় পেশ হয়। ওই বিলে চিট ফান্ড আইন, ১৯৮২ সংশোধন করা হয়েছে, যা চিট ফান্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং এই বিধান দেয় যে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনওভাবেই চিট ফান্ড তৈরি করা যাবে না।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গে সারদা চিটফান্ড ও রোজভ্যালি চিটফান্ডে টাকা রেখে রাজ্যের বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন। ২৫০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি ধরা পড়ে সারদা কাণ্ডে। এই চিট ফান্ডের দ্বারা প্রতারিত হয়ে বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হন। পাশাপাশি রোজভ্যালির চিটফান্ডের ফাঁদে পা দিয়েও অসংখ্য মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত এজেন্টরাও বিপদের মুখে পড়েন। বড় অঙ্কের টাকা ফেরতের প্রলোভন দেখানোয় এই সংস্থায় টাকা রাখেন হাজার হাজার মানুষ। রোজভ্যালি এইভাবে মানুষকে ফাঁদে পেলে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলেছে বলে অভিযোগ।