কলকাতা: দুই দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের নিরাপত্তা বাড়াতে দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর দিকেই নজর দিতে হবে। রবিবার কলকাতায় একটি আলোচনা সভায় এমনই জানান বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং ভারতের (India) বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ‘ইন্দো-বাংলা (Indo-Bangla) কথোপকথন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় উঠে আসে এই প্রসঙ্গ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি খন্দকার আহসান হাবিব জানান, দুই দেশের শাসক দলের মধ্যে যোগসূত্রতা বাড়ানোর থেকেও বেশি দরকার দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো। হাবিব জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু মানুষদের অধিকার আরও সুরক্ষিত করতে হবে এবং সকলের ভোটাধিকারের বিষয়টিও সুনিশ্চিত করতে হবে। বংলাদেশের নর্দান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ জানান, রবীন্দ্রনাথ ও কাজী নজরুলকে ঘিরে দুই বাংলার মানুষের আবেগ ও যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে। সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ জানান, যখন একই ভাষাভাষী মানুষ, একই জায়গায় বাস করছেন তখন স্রেফ ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ করার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রাক্তন সহকারী অধিকর্তা গদাধর চট্টোপাধ্যায় জানান, 2011 সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশের 8.5 শতাংশ হিন্দু, 0.6 শতাংশ বৌদ্ধ এবং 0.4 শতাংশ খ্রিস্টান। বাংলাদেশের হিন্দুদের একটি সংগঠনের নেতা প্রদীপ হালদার জানান, বাংলাদেশে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন সংখ্যালঘু ইস্যু তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে ভাবতেই হবে।
এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ইন্দো-বাংলাদেশ (Indo-Bangla) সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সন্ত্রাসহীন বিশ্বের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং গ্লোবাল মাইনরিটি ভয়েস।