Loksabha Election Result 2019: শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
হাইলাইটস
- মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
- অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আরও কয়েকজন ‘বিশেষ অতিথি
- মোদী- শাহের ম্যারাথন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর
নিউ দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের (General Elections 2019 ) প্রচারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) গণতন্ত্রের থাপ্পড় (Slap Of Democracy) মারব। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ হয়নি। বিরাট জয় পেয়েছে বিজেপি (BJP)। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্ন সূত্রে মঙ্গলবার এ কথা জানা গিয়েছে। এরপর বুধবার জানা গেল মমতার পাশাপাশি মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ( Prime Minister Narendra Modi's Swearing) উপস্থিত থাকবেন আরও কয়েকজন ‘বিশেষ অতিথি' (Special Invitees)। রাজ্যে তৃণমূলের হাতে ‘নিহত' ৫০ জন বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরাও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের ‘বিশেষ অতিথি'র মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় দিল্লিতে থাকা এবং অন্য সমস্ত কিছু দায়িত্বও নিয়েছে বিজেপি।
মন্ত্রিসভায় কারা? নাম ঠিক করতে পাঁচ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে মোদী-শাহ
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এবং মন্ত্রিসভার গঠন নিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পাঁচ ঘন্টার ম্যারাথন বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেই বৈঠকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ৫০ জন কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন দুজন। মন্ত্রিসভায় কারা কারা থাকতে চলেছেন তার পাশাপাশি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কারা থাকবেন তা নিয়েও দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। এরপরই রাজ্যে তৃণমূলের হাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ এমন ৫০ জনের পরিবারের সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। আবশ্যিকভাবে বাংলার শাসক দলের নেত্রীকে বার্তা দিতেই এমন ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিজেপি দাবি করে বেশ কয়েকজন কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল। একইভাবে গত এক বছরে বিজেপি কর্মীদের খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলেরও দাবি পশ্চিমবঙ্গে বাইরে থেকে লোক নিয়ে সন্ত্রাস করছে বিজেপি।
কিন্তু কেন নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে? বিজেপি নেতারা বলছেন দলের কর্মীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতেই এই ব্যবস্থা। তাঁদের বোঝাতে চাওয়া হচ্ছে তৃণমূল যদি আগামী দিন আবারও পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস করে তাহলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের পাশেই থাকবে। আর তাই যে অনুষ্ঠানে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো হাজির থাকছেন সেখানেই এই কর্মীদের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে বারবার এই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে বিজেপি। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। ভোটের ফল প্রকাশের পর বারাণসীর সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ আবারও করেন প্রধানমন্ত্রী।