National Register of Citizens: অসমের ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ NRC তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন
গুয়াহাটি: জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (National Citizens' List) পর থেকে যে সমস্ত বিদেশি সাংবাদিকরা (Foreign journalists) অসম নিয়ে খবর করার চেষ্টা করছেন তারা এত সহজেই তা করতে পারবেন না। ওই রাজ্যে ঢুকতেই বাধা দেওয়া হবে তাদের, একটি RTI-এর জবাবে সরকারের এমনই উত্তর প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি। অসমের ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ এনআরসির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। সারা দেশের পাশাপাশি আবার অসমে নতুন করে এনআরসি করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। গুয়াহাটির বাসিন্দা প্রবীণ সাংবাদিক রাজীব ভট্টাচার্যের (Rajeev Bhattacharyya) দায়ের করা আরটিআই-এর উত্তরে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, অসম সফরের ভিসার জন্য আবেদন করা সাত বিদেশি সাংবাদিকের আবেদন এখন সরকারের একটি ‘সংশ্লিষ্ট' বিভাগ পরীক্ষা করে দেখছে। সাংবাদিকদের জাতীয়তা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে যে, এই বিষয়ে তথ্য ‘পাওয়া যায়নি'।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় নাগরিকপঞ্জি আসলে অসমের মুসলিমদের দেশছাড়া করার হাতিয়ার: জানাল মার্কিন প্যানেল
রাজীব ভট্টাচার্য NDTV-কে বলেন, “কেন্দ্রে বিজেপি রয়েছে, সুতরাং আমি খুব একটা অবাক হইনি যে বিদেশি মিডিয়ার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কয়েক মাস এবং আরও কিছু নিষেধাজ্ঞার পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে তবে ফলাফল অন্যান্য কারণের উপরও নির্ভর করতে পারে।”
রাজীব আরও বলেন, “আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, নির্বাচনে জয়লাভই একমাত্র পরিকল্পনা। কোনও কিছুর মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই। সবকিছুই নির্দিষ্ট একটা উদ্দেশ্যে করা যার ফলেই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ সারা দেশেই এনআরসি হবে, তবে কোনও ধর্মেরই তাতে উদ্বেগের কিছু নেই: অমিত শাহ
গত সেপ্টেম্বরে, বিদেশ মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল যে জম্মু ও কাশ্মীর বা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি সহ সীমাবদ্ধ বা সুরক্ষিত অঞ্চলগুলিতে যেতে চাইছেন এমন বিদেশি সাংবাদিকদের একটি বিশেষ অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে। পরে, মন্ত্রক স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এটি সকল বিদেশি সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, সে তারা ভারতেই থাকুন বা বাইরে।
বিদেশি (সুরক্ষিত অঞ্চল) আদেশ ১৯৫৮ বা বিদেশি (সীমাবদ্ধ অঞ্চল) আদেশ ১৯৬৩-এর আওতাভুক্ত রাজ্যগুলিতে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক ভারতীয় নন এমন নাগরিকদের প্রোটেক্টেড এরিয়া পারমিট (পিএপি) বা রেস্ট্রিক্টেড এরিয়া পারমিট (আরএপি) পাওয়া প্রয়োজনীয়। অসম অবশ্য এই রাজ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
“সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই অসমে এনআরসি করা হয়। দেশজুড়েই এনআরসি করা হবে, এবং অসমে আবারও করা হবে, কোনও ধর্মের কারোরই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিৎ নয়,” গত সপ্তাহেই সংসদে বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, এনআরসি তালিকায় যাদের নাম অনুপস্থিত তারা ট্রাইব্যুনালে যেতে পারেন এবং অসম সরকার তাদের আর্থিক সহায়তাও করতে প্রস্তুত।