এখানে রইল বিশেষ ১০ টি তথ্য
৩৭০ ধারা জম্মু ও কাশ্মীরকে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেয়। কেবল নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও বৈদেশিক বিষয় ছাড়া।
সংবিধানের এই ধারার অবলুপ্তি ঘটলে কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস'-এর সমাপ্তি ঘটবে।
৩৭০ ধারার ফলে কেন্দ্রকে এই রাজ্যে কোনও নীতি বা সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের আইনসভার অনুমতি নিতে হত।
জম্মু ও কাশ্মীর দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হবে। লাদাখ ও কাশ্মীর। এর মধ্যে কাশ্মীরে আইনসভা থাকবে। কিন্তু লাদাখে আইনসভা থাকবে না।
কাশ্মীর উপত্যকায় বিপুল পরিমাণে আধা সেনা মোতায়েন করার পরে এবং রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে নজরবন্দি করে রাখার পরে এই বিরাট পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয় অমরনাথ যাত্রায় আসা সমস্ত পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের দ্রুত রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। তারই মধ্যে বিপুল সংখ্যক আধা সেনা মোতায়েন করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা রাজ্যের কোনও কোনও অঞ্চলে বন্ধ রাখা হয়।
সোমবার সকালে নিজের বাসভবনে মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর তাঁরা সবাই মিলে সংসদে যান অমিত শাহর বড় ঘোষণার জন্য।
জম্মু ও কাশ্মীরে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে এবং কোনও রকম জমায়েতের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি সই করে দিয়েছেন ৩৭০ ধারার অবলুপ্তিতে। যার ফলে কাশ্মীর স্বশাসিত অঞ্চল হল।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইটে জানিয়েছিলেন, ‘‘আমি জানি আমাকে মধ্যরাত থেকে নজরবন্দি রাখা হয়েছে এবং এরই মধ্যে অন্যান্য মুখ্য নেতাদের ক্ষেত্রেও এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা হচ্ছে। সত্যি কিনা জানার উপায় নেই। কিন্তু যদি সত্যি হয়, আমি আপনাদের সকলকে দেখাব অন্যদিকে কী রয়েছে। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।''