This Article is From Jul 27, 2019

স্পাইসজেটের মৃত ইঞ্জিনিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না, দাবি তদন্তকারীদের

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ওই শিক্ষানবিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না এবং তিনি কোনও লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধান ছাড়াই কাজ করছিলেন।

স্পাইসজেটের মৃত ইঞ্জিনিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না, দাবি তদন্তকারীদের

উপরে দেখানো বিমানের মতোই একটি বিমানে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নয়াদিল্লি:

গত ৯ জুলাই কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata airport) একটি বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ডোরের ফাঁকে মাথা আটকে মারা যান ২২ বছরের ইঞ্জিনিয়ার রোহিত পাণ্ড্যে। ডিজিসিএ (DGCA) ওই মৃত্যুর বিস্তারিত তদন্ত করার পরে জানিয়ে দিল, ওই ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও তিনি কাজ করছিলেন কারও তত্ত্বাবধান ছাড়াই।  ২২ বছরের ওই ইঞ্জিনিয়ার বিমানবন্দরে একটি বিমান পরীক্ষা করার সময় বিমানটির প্রধান ল্যান্ডিং গিয়ারের হাইড্রোলিক দরজায় মাথা আটকে মারা যান। শুক্রবার একটি সূত্রানুসারে জানা যায়, ‘‘কমিটির রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে এবং সেখানে বলা হয়েছে যে ওই শিক্ষানবিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না এবং তিনি কোনও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অথবা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধান ছাড়াই ওই বিমানে কাজ করছিলেন।'' 

বিমান সারাতে গিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় মৃত স্পাইসজেটের কর্মী

সূত্র থেকে আরও জানা যাচ্ছে, ডিজিসিএ ওই দুর্ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে।

এছাড়াও ওই দুর্ঘটনায় যে সমস্ত ভুলত্রুটি হয়েছে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।

তদন্তে নেমে ওই কমিটি দেখেছে, ৯ জুলাই ফ্লাইট SG-3218 যেটি কলকাতা থেকে শিলচর যাওয়ার কথা ছিল, সেটিকে ৩.৩৫-এ বের করার পর ৩.৫৫-এ Yaw Damper unit-এ অপ্রত্যাশিত ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়।

Yaw Damper unit হল এমন এক যন্ত্র যার সাহায্যে বিমানের উল্লম্ব অক্ষের দোদুল্যমানতাকে দুর্বল করা হয়।

এরপর ওই বিমানটিকে সারানোর জন্য পার্ক করা হয়। ত্রুটি নির্ণয়ের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ডে শিফটে না থাকায় নাইট শিফটের ইঞ্জিনিয়ারদের উপরই ন্যাস্ত হয়। 

বাংলাদেশে গরু পাচার আটকালো ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী

ওই সময়ই এক এএমই বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার অন্য একটি বিমানের মেরামতির কাজ করছিলেন। তিনি বিমানটির হাইড্রলিক ব্যবস্থার উপরে চাপ বাড়াতে থাকেন। উদ্দেশ্যে বিমানের ডানার চলন ও ল্যান্ডিং গিয়ারে কোনও সমস্যা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা। হাইড্রলিক ব্যবস্থার উপরে চাপ বাড়াতেই ডানদিকের ল্যান্ডিং গিয়ার ডোর বন্ধ হয়ে যায়। আর তাতেই সমস্যায় পড়ে যান রোহিত। তিনি ডান দিকের মেইন হুইল এএফটি ডোরেটি পরীক্ষা করছিলেন। সেটা বিমানের লেজের দিকে অবস্থিত।

সূত্রানুসারে কমিটির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দরজা কেটে রোহিতকে বের করে আনা হয় এবং চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.