সৌরভ দেশাই হিমাচল প্রদেশের স্পিতি উপত্যকায় তার সফরকালে এই ছবিটি তুলেছিলেন
নিউ দিল্লি: কেমোফ্লেজ শব্দটা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শুরু করে জঙ্গল সবেতেই সমপ্রযোজ্য এবং ভীষণভাবে বর্তমানও। সম্প্রতি বন্যপ্রাণি ফটোগ্রাফার সৌরভ দেশাইয়ের (Saurabh Desai) তোলা তুষার চিতাবাঘের একটি আলোকচিত্র বেশিরভাগ নেটিজেনকেই আবার কেমোফ্লেজ শবদটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। বরফে ইতস্তত ঢাকা পড়া পাথুরে পাহাড়ের উপর চিতাবাঘ ঠিক কোথায় লুকিয়ে আছে, এক নজরে কিছুতেই খুঁজেই পাবেন না আপনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে এই দুর্দান্ত ছবিটি। সৌরভ দেশাই হিমাচল প্রদেশের স্পিতি উপত্যকায় (Spiti Valley, Himachal Pradesh) তার সফরকালে এই ছবিটি তুলেছিলেন। নিজের ইনস্ট্রগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবিটি ‘আর্ট অভ কেমোফ্লেজ' নেম দিয়ে শেয়ার করেছেন তিনি।
কারগিলে পাথর ছুঁড়ে ভালুককে খাদে ফেলে উল্লাস মানুষের! তীব্র ক্ষোভ সোশ্যাল মিডিয়ায়
ছবিটি নেটিজেনরা ঝড়ের বেগে শেয়ার করেছেন। বাস্তবিকই ওই রুক্ষ পাথুরে জমিতে ছদ্মবেশী চিতাবাঘকে খুঁজে বের করা বড্ড কঠিন। অনেকেই ছবি শেয়ার করে বন্ধুদের ট্যাগ করছেন খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ জানাতে।
একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি অনেকক্ষণ ধরেই তো তাকিয়ে ছিলাম। কোথায় বাঘ!” অন্য একজন ব্যবহারকারী বলেন, “যখন বাঘের চোখগুলো লক্ষ্য করলাম তখন অবাক হয়ে গেল! অনুপ্রাণিত হলাম!”
সৌরভ দেশাই কিব্বার গ্রামে (Kibber village) গিয়েছিলেন। এটিই পৃথিবীর সর্বোচ্চ গ্রাম বলে মনে করা হয় যেখানে এখনও গাড়ি করে যাওয়া যায়। গ্রাম থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে একটি স্থানে তিনি তুষার চিতাবাঘ দেখেছিলেন।
নেকড়ের খাঁচায় কুকুর, অভিযোগ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে
‘পাহাড়ের ভূত' নামে পরিচিত তুষার চিতাগুলিকে সাধারণত হিমাচল প্রদেশে ৯৮০০ ফুট থেকে ১৭০০০ ফুট উচ্চতায় এবং উচ্চ ও রুক্ষভূমি অঞ্চলে পাওয়া যায়। লাহুল এবং স্পিতির কিব্বার বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য থেকে চাম্বা জেলার পাঙ্গি এবং আদিবাসী কিন্নৌর জেলার লিপ্পা আসরং পর্যন্ত এদের আবাসস্থল ব্যপ্ত রয়েছে।
Click for more
trending news