সুরজিৎ ওই চাকরিতে যোগ দেন আড়াই বছর আগে।
নয়াদিল্লি: গোয়ার রাজ্য সাঁতার দলের কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, এক ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর যাঁর বিরুদ্ধে তাঁর বাঙালি নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছিল, এবার তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও আনা হল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু তাঁর টুইটে জানিয়ে দেন, ‘‘ক্রীড়া দফতরের তরফে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। প্রথমত, এটা অত্যন্ত গুরুতর ও জঘন্য একটি অপরাধ। তাই আমি পুলিশকে জানাব দ্রুত ওই কোচের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করার জন্য।'' পাশাপাশি সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়াকে তিনি নির্দেশ দেন ওই কোচকে যেন দেশের কোথাও চাকরি না দেওয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্লীলতাহানির ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নামের ওই কোচকে, যিনি গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত ২৩, আহত বহু
সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি দিগম্বর কামাত বলেন, তিনি রাজ্য প্রশাসনের থেকে ওই ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভিডিওটি দেখার পরেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে গোয়ার ক্রীড়া দফতরকে চিঠি লিখে ওঁকে তৎক্ষণাৎ চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানাই। তাঁকে রাখার জন্য বহু অভিভাবক অনুরোধ করেছিলেন, কারণ তিনি একজন ভাল কোচ ছিলেন। ''
গোয়ার ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দফতরের অধিকর্তা ভিএম প্রভুদেশাই বলেন, দিগম্বর কামাত তাঁকে মৌখিক ভাবেও মুখ্য কোচকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন।
“প্রতিহিংসার রাজনীতি”, ডিকে শিবকুমারের গ্রেফতারি নিয়ে বললেন রাহুল গান্ধি
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জিএসএ-র সচিব সঈদ আব্দুল মাজিদ জানান, ‘‘ভিডিওটি দেখার পর আমরা সুরজিতের চুক্তি বাতিল করেছি। ওই মেয়েটি ও কোচ দু'জনেই বাংলার।''
পিটিআই জানিয়েছে, সুরজিৎ ওই চাকরিতে যোগ দেন আড়াই বছর আগে।
আব্দুল মাজিদ আরও বলেন, ‘‘আমরা ওঁকে নিয়োগ করেছিলাম, কারণ কোচ হিসেবে ওঁর ট্র্যাক রেকর্ড ভাল। ওঁর বিরুদ্ধে এর আগে কোনও অভিযোগও ওঠেনি।''
এক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুরজিৎ ঘোষ আন্তর্জাতিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১২টি পদক জিতেছেন। ১৯৮৪ সালে হংকংয়ে এশিয়ান সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার সোনা জেতেন তিনি।
(তথ্য সহায়তা: বিভিন্ন এজেন্সি)