Sri Lanka Blast: শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ৫০০ জনেরও বেশী।
নিউ দিল্লি: শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণের(Sri Lanka Blast) দায় স্বীকার করল আইএসআইএস। রবিবার ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণে(Sri Lanka Blast) ৩০০ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ৫০০ জনেরও বেশী। আইএসআইএসের কোনও সংগঠন এই হামলা ঘটিয়েছে বলে আগেই দাবি করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র। আগেই শ্রীলঙ্কার তরফে মূল সন্দেহভাজন হিসাবে স্থানীয় একটি ইসলামিক সংগঠনের নাম করা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণে(Sri Lanka Blast) আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সারা পড়ে যায়। ইস্টার সানডের দিন সকালে অল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর ছটি বিস্ফোরণ হয়। দুঘন্টা পর ফের বিস্ফোরণ হয়।এই ঘটনায় গোটা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। সংগঠনটির সংবাদসংস্থার তরফে দায় স্বীকার করা হয়েছে এবং ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে তারা আত্মঘাতী বোমারুদের “ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধা” বলে বর্ণনা করেছে । মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, দায় স্বীকারের সপক্ষে কোনও প্রমাণ তুলে ধরতে পারে নি তারা।
ক্রাইস্টচার্চের বদলা' নিতেই কলোম্বোয় হামলা হয়েছিল, সংসদে দাবি শ্রীলঙ্কা সরকারের
সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি সংগঠনের ভিডিওতে দাবি করা হয়, এই হামলার পিছনে রয়েছে আইএসআইএস। ভিডিওতে তিনজন সন্দেভাজন বোমারুকে দেখানো হয়। হামলার পিছনে আইএসআইএস রয়েছে বলে আগে সন্দেপ্রকাশ করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র। আন্তজার্তিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এমনকী, হামলা ঘটিয়েছে শ্রীলঙ্কার সংগঠন। গ্রেফতারের সংখ্যা ২৪ থেকে বেড়ে ৪০ জন বলে জানিয়েছেন পুলিশর মুখপাত্র রুয়েন গুনাশেখরা।
শ্রীলঙ্কার বিস্ফোরণে মারা গেল ডেনমার্কের ধনীতম ব্যক্তির তিন সন্তান
ইস্টার সানডের সকালে স্থানীয় সময় সকাল ৮.৪৫ নাগাদ কলোম্বোর সেন্ট অ্যান্টনি গির্জা, নেগোম্বোর সেন্ট সিবাস্টিয়ান গির্জা এবং বেটিকালোয়ার আরেকটি গির্জায় বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় ইস্টার সানডের প্রার্থীনা চলছিল। সাঙ্গেরি-লা, সিন্নামোন গ্র্যান্ড এবং কিংসবারি হোটেলে বিস্ফোরণ হয়। ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩২০ জনের মৃত্যু হয়, তাদের মধ্যে ৪৫ জন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
"আন্তর্জাতিক হাত" রয়েছে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের নেপথ্যে: শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোকপালন করা হয়। মধ্যরাত থেকেই জরুরি অবস্থা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপতির অফিস, আদালতের নির্দেশ ছাড়াই কাউকে সন্দেহের বশে জিজ্ঞাসাবাদ এবং আটক করার অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে।