ইস্টারের বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছিল এই জঙ্গি সংগঠনটি
কলম্বো: গত সপ্তাহে ইস্টারে শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka blast) ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তাবাহিনী অনুসন্ধান চালানোর সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে যায় কয়েকজন জঙ্গির সঙ্গে। তাদের মধ্যে তিনজন আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেদের উড়িয়ে দেয় আর বাকিদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়। এই পুরো তল্লাশিপর্বে সব মিলিয়ে মৃত্যু হল ১৫ জনের। তাদের মধ্যে ছিল ছ'জন শিশুও। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। কালমুনাইয়ের পূর্বদিকে জিহাদিদের একটি ‘সেফ হাউজ'-এ এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় তিন জঙ্গি। মনে করা হচ্ছে, যার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন মহিলা ও ছ'জন শিশু। একটি বিবৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, “আরও তিনজন জঙ্গিও ছিল। যাদের ওই সেফ হাউজের বাইরেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে”।
শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তা জানান, পুলিশের ঠিক পিছনেই ছিল সেনাও। ওই ঘরের ভিতর যারা ছিল, তাদের সঙ্গে টানা এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে গুলির লড়াই চলে। ওই কর্তাই জানান, গুলির লড়াই এবং বিস্ফোরণ হয়ে যাওয়ার পর তল্লাশি চালিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার শ্রীলঙ্কার হোটেল এবং গির্জায় ইস্টারের দিন সকাল দুপুর এবং বিকেল মিলিয়ে মোট আটটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। যে বিস্ফোরণে প্রাণ হারান অন্তত ২৫৩ জন মানুষ। আহত হন পাঁচশোর বেশি। ওই বিস্ফোরণেরই দায় স্বীকার করেছিল আইএসআইএস। তারপরই এই উগ্রপন্থী সংগঠনের হদিশ পেতে তল্লাশি শুরু করে ওই দেশের নিরাপত্তাবাহিনী।
একটি বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী জানতে পারে, রাজধানী কলম্বো থেকে পূর্বদিকে ৩৭০ কিলোমিটার (২৩০ মাইল) দূরের একটি জায়গায় রয়েছে ইস্টারের বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীরা।
পুলিশ জানায়, এই সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর কেউ প্রাণ হারায়নি।
অন্যদিকে, একটি বিতর্কও উঠেছে যে, শ্রীলঙ্কা সরকারের কাছে আগে থেকে দেশে যে বড় হানা হতে পারে তা নিয়ে খবর ছিল।
বিবিসিকে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈথিরিপালা সিরিসেনা বলেন, “যদি ব্যাপারটা আমরা আগে জানতাম, তাহলে এটা ঘটত না। আর যদি, এটা প্রমাণ করা যায় যে, আমাদের কাছে খবর থাকা সত্ত্বেও আমরা কিছু ব্যবস্থা নিইনি, তাহলে আমি পদত্যাগ করব”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)