This Article is From Apr 22, 2019

"আন্তর্জাতিক হাত" রয়েছে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের নেপথ্যে: শ্রীলঙ্কা

Sri Lanka: সরকারের পক্ষ থেকে এই কথাও জানানো হয় যে, সোমবার রাত আটটা থেকে মঙ্গলবার ভোর ছ’টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে।

৮'টি বিস্ফোরণে মৃত ২৯০, আহত ৫০০।

কলম্বো:

দীর্ঘ এক দশক ধরে শান্ত ছিল শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। লিবারেশন টাইগার্স অব তালিম এলম (এলটিটিই)-এর সঙ্গে ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ওই বছরেই। সেই শান্ত সিংহল দ্বীপ আচমকা অশান্ত হয়ে উঠল রবিবার। ভয়াবহ বিস্ফোরণের সকাল থেকে বিকেল অবধি কেঁপে উঠল শ্রীলঙ্কা(Sri Lanka)। আসলে ফের আরও একবার সন্ত্রাসবাদীর হানার কাছে কেঁপে গেল গোটা বিশ্ব। তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় পরপর বিস্ফোরণ হয়। ইস্টারের দিন হওয়া এই ভয়ানক বিস্ফোরণে ছাড় পাননি প্রভু যিশুও। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় সকাল পৌনে ন'টা নাগাদ। ইস্টারে উৎসবের আবহ মুহূর্তে বদলে গেল তারপর আর্ত চিৎকার ও দেহাবশেষের স্তূপে। প্রায় ৩০০'র কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হওয়া এই বিস্ফোরণটি উগ্র ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল থোহুইথ জামাতের কাণ্ড বলে মনে করছে শ্রীলঙ্কা সরকার। সোমবার সরকারের মুখপাত্র রাজিতা সেনারত্নে এই কথা জানান।

আবার বিস্ফোরণ কলম্বোয়, নিষ্ক্রিয় করার সময় পুলিশ ভ্যানে ফেটে গেল বোমা

শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজিতা সেনারত্নে বলেন, এই সংগঠন ‘আন্তর্জাতিক সহায়তা' পেয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে সরকার।

সংবাদসংস্থা এএফপি'র কাছে যে নথিপত্র এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ১১ এপ্রিল একটি সতর্কতা জারি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) পুলিশ প্রধান। যাতে বলা হয়, “আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা'-র মাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল থোহুইথ জামাত (এনটিজে) গির্জা ও ভারতীয় দূতাবাসে বড়সড় হামলা চালাতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই জঙ্গি সংগঠনটি সম্বন্ধে বেশি তথ্য নেই কারও কাছে। কেবলমাত্র বৌদ্ধধর্মের মূর্তি ভাংচুর করার জন্যই যারা এতদিন শিরোনামে এসেছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উগ্র জঙ্গি সংগঠনের ২৪ জন সদস্যকে আপাতত পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণের পর ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করা হল

অন্যদিকে, সরকার এই বিস্ফোরণের পর মধ্যরাত থেকে দেশে ইমারজেন্সি জারি করেছে। একটি বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানান শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈথিরিপালা সিরিসেনা।

সরকারের পক্ষ থেকে এই কথাও জানানো হয় যে, সোমবার রাত আটটা থেকে মঙ্গলবার ভোর ছ'টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে।

এক ডজনেরও বেশি বিদেশি সহ সরকারি হিসেব অনুযায়ীই এই বিস্ফোরণগুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২৯০ জন। আহত হয়েছেন ৫০০'র বেশি মানুষ।

বিস্ফোরণের পর সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ হল শ্রীলঙ্কায়

“কেন আগে থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হল না এই বিস্ফোরণ রোখার জন্য”, তা জানতে চেয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে।

এই জঙ্গি হানার সময় দেশের বাইরে ছিলেন রাষ্ট্রপতি সিরিসেনা। হানার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি দেশে ফিরে এসে নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে অতি জরুরি বৈঠক করেন তিনি।

     



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.