মোট 12 টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তাদের মধ্যে সাইফি টেকনোলজিসের চারটি অফিসও রয়েছে।
নিউ দিল্লি:
স্টাফ সিলেকশন কমিশনের স্নাতকস্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কান্ডে 17 জনের বিরূদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই, যাদের মধ্যে 10 জন সাইফি টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মচারী। বুধবার দিল্লিতে সিবিআইয়ের এক আধিকারিক এই কথা জানান। মোট 12 টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তাদের মধ্যে চেন্নাই, নয়ডা, মুম্বাই এবং নয়াদিল্লির ওখলার সাইফি টেকনোলজিসের চারটি অফিসও রয়েছে। ওই সংস্থার কর্মী শান্তপ্রসাদ গুপ্তের সেখ সরাই অঞ্চলের বাড়ির পাশেও তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
অভিযোগে সাতজন ছাত্রেরও নাম রয়েছে। তাদের বিরূদ্ধে অভিযোগ, তারা পরীক্ষায় বসেছিল ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নপত্রের স্ক্রিনশট সঙ্গে নিয়ে! যা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
সিবিআই জানিয়েছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এমনভাবে সেট করা হয়েছিল, যাতে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে একটি নির্দিষ্ট সিকোয়েন্স মেনে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল।
ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন অনুসরণ করেই সিবিআই অভিযুক্ত সাত ছাত্রকে ধরে ফেলে।
এই ছাত্রদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং য়ে তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা শেষ হওয়ার পরেই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানিয়েছে এক সিবিআই আধিকারিক।
শান্তপ্রসাদ গুপ্ত সহ সাইফির আরও ন’জন কর্মচারী, যারা ওই সাত পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের প্রত্যেকের নামেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআইয়ের ওই আধিকারিক।
এই পরীক্ষার প্রথম পর্ব সমাপ্ত হয় গত বছরের অগস্ট মাসে। দ্বিতীয় পর্ব চলে এই বছরের 17 ফেব্রুয়ারি থেকে 22 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সম্মিলিত স্নাতক পর্যায়ের পরীক্ষা 2017, শুরু হওয়ার কথা ছিল 21 ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে দশটা থেকে। তার অন্তত মিনিট কুড়ি আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পরীক্ষার ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নপত্র ঘুরতে আরম্ভ করে। জানিয়েছে ওই আধিকারিক।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)