India China Border: পানগং হ্রদ ঘিরে এই উত্তেজনা ভারত-চিনের মধ্যে নতুন নয় (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- পানগং হ্রদকে ঘিরে অচলাবস্থা প্রতিনিধি-স্তরের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়
- প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সম্পর্কিত ভিন্ন ধারণার কারণে এই ধরণের ঘটনা: সূত্র
- ২০১৭ সালের অগাস্টে লাদাখের প্যানগং হ্রদ ঘিরে একই ধরণের উত্তেজনা হয়
নয়া দিল্লি: পূর্ব লাদাখে বুধবার সারা দিন ধরে চলমান ভারতীয় (India) ও চিনা (China) সেনাদের মধ্যে পারস্পরিক উত্তেজনার সমাধান করা হয়েছে, জানিয়েছে সেনাবাহিনীর সূত্র। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সকালে যখন পানগং হ্রদের উত্তরের তীরে ভারতীয় সেনারা টহল দিচ্ছিল, সেই সময় চিনা সেনারা তাঁদের পথ আটকায়। তিব্বত থেকে লাদাখ পর্যন্ত বিরাট জায়গা জুড়ে থাকা ওই হ্রদটির (Pangong lake) দুই-তৃতীয়াংশ চিনের অধীনস্থ। এরপরেই ভারতীয় সেনাবাহিনী ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তজনা শুরু হয়। দুই দেশের জওয়ানরাই এক অপরকে শক্তি প্রদর্শনের জন্যে আহ্বান জানায়। ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বুধবার সন্ধে পর্যন্ত বজায় থাকে।
সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, "গতকাল (বুধবার) প্রতিনিধি-পর্যায়ের আলোচনার পরে বিষয়টি পুরোপুরি থামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অশান্তি দূর করা হয়েছে। এই ধরণের বিষয় এলএসি (বাস্তব নিয়ন্ত্রণের লাইন) সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন ধারণার কারণেই ঘটে থাকে। এ জাতীয় ঘটনাগুলি সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থাও রয়েছে" ।
লাদাখের পানগং হ্রদের আশেপাশে ভারতীয় এবং চিনা সেনাদের মধ্যে হওয়া অশান্তির ঘটনা এই প্রথম নয়, অথচ এটি এমন একটি জায়গা যা প্রচুর পর্যটকদেরও আকর্ষণ করে।
ভারত-চিন সুসম্পর্ক স্থিতিশীলতার জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: এস জয়শঙ্কর
২০১৭ সালের অগাস্টেও, দু'পক্ষের সেনাদের মধ্যে পারস্পরিক অশান্তির একটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছিল। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল যে, দুই দেশের কয়েকজন সেনা একে অপরকে ঘুষি মারছে এবং লাথি মারছে। এমনকি একে অপরকে পাথর ছুঁড়ছে এই দৃশ্যও দেখা যায় ভিডিওটিতে। এমনকি গত স্বাধীনতা দিবসেও চিনের সেনাবাহিনী প্যানগং হ্রদের তীরে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ ওঠে, কিন্তু ভারতীয় সেনারা তাঁদের ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশে বাধা দেয়।
সেই সময় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পরে ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলে তৈরি হওয়া ওই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে দুই দেশের সেনাই তাঁদের নিজের অবস্থান থেকে সরে আসার আগে বিতর্কিত অঞ্চলটিতে নিজেদের দেশের অধিকার ঘোষণা করে ব্যানার আটকায় সেখানে।
“পার্থক্য বিবাদের কারণ হওয়া উচিত নয়”, কাশ্মীর পদক্ষেপ নিয়ে চিনকে বার্তা ভারতের
এরপরে, ঠিক বুধবারের মতোই ব্রিগেডিয়ার স্তরের আধিকারিকরা ওই অঞ্চলের উত্তেজনা হ্রাস করার উপায় বের করতে একটি বৈঠক করেন এবং সাময়িক ভাবে সমস্যার সমাধান করেন।
পানগং হ্রদের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল রক্ষার জন্য, ভারতীয় সেনাবাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা উচ্চ-গতির ইন্টারসেপ্টর নৌকাগুলি সবসময় প্রস্তুত রাখে সেখানে, ওই রণতরীতে প্রায় ১৫ জন সেনা একসঙ্গে থাকতে পারে এবং রাডার, ইনফ্রারেড সেন্সর এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম সহ সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে সেটিতে। এই রণতরী নিজেদের জায়গা পুনরুদ্ধার এবং আধিপত্য ঘোষণা করতে টহল পরিচালনার কাজেও ব্যবহৃত হয়।