This Article is From Jul 13, 2019

লক্ষ্যপূরণে সফল ইমপা, সিনেমার টিকিটে সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

এসি হলে ৫ টাকা. ব্লোয়ার হলে ৪ টাকা আর পাখা লাগানো হলে ৩ টাকা সার্ভস চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। একই সঙ্গে লাগাতার ধর্মঘটের পথেও হাঁটছেন না হল মালিকেরা।

Advertisement
Kolkata

সাংবাদিক বৈঠকে ইমপা

কলকাতা:

একের পর সিনেমা হল বন্ধ। তার ওপর জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে দর্শকের কথা ভেবে সিনেমার টিকিটে সার্ভিস চার্জ নেওয়ার অনুমতিও মেলেনি। সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা অসংখ্য মানুষের। একই সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহের মালিকদেরও। রাজ্য সরকারের (State Government) কাছে অনেক আবেদন-নিবেদন জানিয়েও কোনও ফল না মেলায় গত ১০ জুলাই থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য রাজ্যব্যাপী সিনেমা হল বন্ধের ডাক দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া মোশন পিকচারর্স অ্যাসোশিয়েশন (EMPA)। ধর্মঘটে বসার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছোয় ইমপার দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী সিনেমার টিকিটের ওপর সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর (Increase Service Charge) সম্মতি দেওয়ায় আর ধর্মঘটের পথে হাঁটছেন না প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা। 

জীবনে ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনা লৌকিক না অলৌকিক? উত্তর পাবেন আজ রাত আটটায়

ফোনে একান্ত আলাপচারিতায় ইমপার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত জানান, প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যিনি হল মালিকদের সমস্যা বুঝে ইমপার ডাকে সাড়া দিয়ে সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছে বাংলা সিনেমা শিল্প। একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হওয়ায় এই মুহূর্তে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ৯০০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৫০-তে। একই সঙ্গে জিএসটি চালু হওয়ার পর দর্শকদের কথা ভেবে টিকিটের ওপর সার্ভিস চার্জ দেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হল মালিকেরা। মার খেয়েছে ছবির ব্যবসা। বাধ্য হয়েই তাই গত ১০ জুলাই আমরা হল মালিকদের সমর্থনে লাগাতার প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করি।

Advertisement

খবর শুনেছেন? ২০২০-তে বিয়ে করছেন শ্রদ্ধা!

Advertisement

এরপরেই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত অবস্থা বিবেচনা করে পরের দিনই সার্ভিস চার্জ নেওয়ার অনুমতি দেন। সেই হিসেব অনুযায়ী এসি হলে ৫ টাকা. ব্লোয়ার হলে ৪ টাকা আর পাখা লাগানো হলে ৩ টাকা সার্ভস চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। একই সঙ্গে লাগাতার ধর্মঘটের পথেও হাঁটছেন না হল মালিকেরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩-এ রাজ্য সরকার সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। বদলে শর্ত ছিল, মাইনে বাড়াতে হবে হল কর্মীদের। বোনাস বাড়াতে হেব ২০ শতাংশ। বাড়াতে হবে ডিএ, রক্ষণাবেক্ষণের চার্জও। সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মানলেও জিএসটি টালু হওয়ার পর আর সার্ভিস চার্জ বাড়াতে দেয়নি সরকার। যদিও অন্য রাজ্যে সার্ভিস চার্জ বৃ্দ্ধি পেয়েছে নিয়ম মেনেই।  

Advertisement