সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পর বুধবারই প্রথমবারত খোলে মন্দিরের দরজা।
হাইলাইটস
- সবরিমালা মন্দির চত্বরে অশান্তি রুখতে আরও তৎপর হল রাজ্য প্রশাসন
- আজ বারো ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে একটি সংগঠন
- তার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন
সবরিমালা, কেরালা: সবরিমালা মন্দির চত্বরে অশান্তি রুখতে আরও তৎপর হল রাজ্য প্রশাসন। জানিয়ে দেওয়া হল মন্দিরে যাওয়ার পথে কোনও জায়গায় পাঁচ জনের বেশি একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। পাহাড় ঘেরা মন্দিরে ওঠার আগে কয়েকটি বেস ক্যাম্পে বিশ্রাম নেন। সেই শনিধানাম, পাম্বা, নিক্কল এবং এলাভুঙ্গালের বেস ক্যাম্প থেকে মন্দিরে ওঠার রাস্তার কোনও জায়গায় একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি মানুষকে থাকতয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে এই ঘটনায় আজ বারো ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে একটি সংগঠন। আর তার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। বন্ধ রয়েছে দোকান পাঠ।
আরও পড়ুন: কেরালা সবরিমালা মন্দিরে খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন দুই সাংবাদিক, এনডিটিভিকে বাধা
এই বনধকে সমর্থন করছে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালার মতে সবরিমালা বিতর্কে লিঙ্গ মুখ্য মূল বিষয় নয়। তিনি মনে করেন সুপ্রিম রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা উচিত ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু সিপিএমের নেতৃত্বে চলা বাম সরকার সেটা করেনি। মাত্র কয়েক দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দিয়ে জানায় এখন থেকে সমস্ত বয়সের মহিলারা সবরিমামা মন্দিরে ঢুকতে পারবেন। সেই প্রক্রিয়া শুরু ঘিরেই অশান্তি ছড়িয়েছে ভগবানের আপন দেশে।
আরও পড়ুন: কেরালার সবরিমালা মন্দিরে উত্তেজনা, হয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা, দশটি তথ্য
সেপ্টেম্বর মাসের 28 তারিখ সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেওয়ার পর বুধবারই প্রথমবারত খোলে মন্দিরের দরজা। তখন থেকেই অশান্তি ছড়াতে শুরু করে। ঋতুমতি মহিলারা যাতে কোনওভাবেই সেখানে পৌঁছতে না পারেন তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে অনেক। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে এ ধরনের আক্রমণের নেপথ্যে রাজনীতি দেখছে কেরালার বাম সরকার।