এই ধরণের মন্তব্য থেকে দল দূরত্ব তৈরি করেছে বলে জানালেন অমিত শাহ
নয়াদিল্লি: বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বললেন, “গুলি মারো” এবং “ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ”, দিল্লিতে ভোটের (Delhi elections) আবহে বিজেপি নেতাদের এই ধরণের মন্তব্য করা উচিত হয়নি। দলের নেতাদের ঘৃণার মন্তব্যের জন্য ভুগতে হয়েছেল বিজেপিকে, সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এমনটাই বলেছেন তিনি। যদিও এই ধরণের মন্তব্য থেকে দল দূরত্ব তৈরি করেছে, তবে দলের নেতাদের ঘৃণাভরা মন্তব্যের জন্য নির্বাচনে ভোগান্তি হয়েছে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, “দিল্লি নির্বাচনে আমার মূল্যায়ণ ভুল হয়েছে”, টাইমস নাও সামিট ২০২০ তে এই মন্তব্য করেন অমিত শাহ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে উল্লেখ করেছেন যে, সীমা পার করা নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বিজেপি।
শাহিনবাগ নিয়ে অমিত শাহকে কটাক্ষ আপ প্রার্থীর
প্রত্যাশার থেকে অনেক কম আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি।
এবারের নির্বাচনে প্রচারে ২৭০ জন সাংসদ, ৭০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যের নেতাদের নামিয়েছিল বিজেপি, তবে গোটাকয়েক আসন বেশি পেয়েছে তারা। গতবারের পাওয়া তিনটি আসন বেড়ে এবারে হয়েছে ৮। অন্যদিকে, এবারের নির্বাচনের আবহে বরাবরই বিতর্ক থেকে দূরে সরেছিল আম আদমি পার্টি, তারা ৭০ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয়লাভ করেছে।
বিজেপির এই পরাজয়কে তাদের নীতিকে মানুষের প্রত্যাখান বলেই মনে করেছে বিরোধী দল ও আম আদমি পার্টি।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর থেকে শুরু করে একাধিক বিজেপি নেতা নির্বাচনের প্রচারে শাহিনবাগে নাগিরকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে তুলে ধরে ঘৃণার মন্তব্য করেন।
‘‘আমাদের কেউ কেউ এখনও নিজেদের মন্ত্রী ভাবছেন'': কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে
ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে “দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা মানুষদের গুলি করে মারার” কথা বলতে দেখা গিয়েছে মন্ত্রীকে। এমনকী, গুলি করার কথা প্রকাশ্যে বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপির তারকা প্রচারক এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।
বিজেপি সাংসদ পরবেশ বার্মা বলেন, “ওখানে (শাহিনবাগ) লক্ষাধিক মানুষের সমাগম। তারা আপনাদের ঘরে ঢুকে, আপনাদের বোন এবং মেয়েদের ধর্ষণ করবে, ওদের ফেরে ফেলুন। এখন সময় আছে...আগামীতে মোদিজী এবং অমিত শাহ আপনাদের রক্ষা করতে আসবেন না”।