রাজ্যের আনা সিএএ-বিরোধী প্রস্তাবনা আদতে "রাজনৈতিক কৌশল", কলকাতায় এসে একথা বলেন শশী থারুর। (ফাইল)
হাইলাইটস
- কলকাতা লিটারারি মিটে এসেছেন শশী থারুর
- সিএএ-তে রাজ্যের ভূমিকা পরিমিত, বলেছেন ওই কংগ্রেস সাংসদ
- একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট পারে একে খারিজ করতে জানিয়েছেন তিনি
কলকাতা: রাজ্যের আনা সিএএ-বিরোধী প্রস্তাবনা আদতে "রাজনৈতিক কৌশল"। কলকাতায় এসে একথা বলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Sashi Tharoor)। যেহেতু ওই আইনে রাজ্যের ভূমিকা পরিমিত, তাই সিএএ-বিরোধী (Anti-CAA) প্রস্তাব পেশ রাজনৈতিক কৌশল। বৃহস্পতিবার এমন যুক্তি দেখিয়েছেন তিনি। পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই কংগ্রেস সাংসদ বলেছেন, প্রস্তাবিত এনআরসি (NRC) লাগু করতে রাজ্যের ভূমিকা আছে। কারণ গোটা প্রক্রিয়া রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের সামলাতে হবে। কেন্দ্রের অত কর্মী নেই। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু নাগরিকত্ব কেন্দ্রের সরকার দিয়ে থাকে। রাজ্য কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারে না। তাই সিএএ (CAA) লাগু করা বা না করার ওপর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেই। এদিনের সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করেছেন শশী থারুর।
CAA: "আজাদি" স্লোগান দিলেই "দেশদ্রোহী", হুঁশিয়ারি দিলেন যোগী আদিত্যনাথ
"সিএএ নিয়ে রাজ্য আদালতে যেতে পারে, খুব বেশি হলে বিধানসভায় প্রস্তাবনা আনতে পারে। কিন্তু প্রক্রিয়া রুখতে ওরা কী করতে পারবে?" বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তোলেন থারুর। "তাই রাজ্য কখনও বলতে পারে না, আমরা সিএএ লাগু করবো না। খুব বেশি হলে এনপিআর বা এনআরসি করতে দেবো না, এমন হুঁশিয়ারি রাজ্য দিতে পারে," পিটিআইকে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন। দিন কয়েক আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বল বলেছিলেন, রাজ্য কখনও সিএএ লাগু করার দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না। কারণ এই বিল সংসদে পাস হয়েছে। যদিও পরে তিনি এই আইনকে 'অসাংবিধানিক' আখ্যাও দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের দাবি, দলীয় লাইনের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিব্বল, এটা বুঝতে পেরেই পরে 'অসাংবিধানিক' শব্দ ব্যবহার করেন তিনি। ইতিমধ্যে কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব, বাম শাসিত কেরালা সিএএ লাগু-বিরোধী প্রস্তাবনা পেশ করেছে বিধানসভায়। পশ্চিমবঙ্গে, কংগ্রেস চাইছে দ্রুত সেই প্রস্তাবনা পাস হোক।
CAA: "নেশার ঘোরে কথা বলছেন", নাসিরের "জোকার" মন্তব্যের পাল্টা জবাব অনুপম খেরের
আগামী ২৭ জানুয়ারি সে সংক্রান্ত প্রস্তাবনা বিধানসভায় আনতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলে খবর। কংগ্রেস ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ আর ছত্তিশগড় সেই পথেই হাঁটবে। এই তিন রাজ্যেও কংগ্রেস সরকার । সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার শশী থারুর পিটিআইকে বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট সিএএ লাগুতে স্থগিতাদেশ না দিলেও, আমাদের আন্দোলন থমকে যাচ্ছে না। অন্তত শীর্ষ আদালত বিষয়টা শুনানির জন্য পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়েছে। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে ধর্মের নামে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টা সংবিধানের মৌলিক কাঠামকে আঘাত করছে। এটা বুঝতে পেরেছে সুপ্রিম কোর্ট। এভাবেই আমরা আদালতের মাধ্যমে মৌলিক পার্থক্যটা দূর করতে পারবো।"
তিনি বলেছেন, এই আইন বিলোপের দুটি পথ খোলা। এক, সুপ্রিম কোর্ট একে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে খারিজ করবে। নয়তো সরকার নিজেই একে খারিজ করবে। কিন্তু দ্বিতীয় সম্ভাবনা ক্ষীণ, কারণ বিজেপি কখনও তার ভুল স্বীকার করবে না। টাটা স্টিল কলকাতা লিটারারি মিটে এসে এমন দাবি বৃহস্পতিবার করলেন ওই কংগ্রেস সাংসদ। দেশব্যাপী চলা প্রতিবাদ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, "ওই আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত। যদি সরকার একবার বলে ধর্মের ভিত্তিতে কেউ নাগরিকত্ব খোয়াবে না। তাহলে এই আন্দোলন যৌক্তিকতা হারাবে। তাঁর পরামর্শ, "সরকার বলুক, আমরা জন্মস্থান এবং নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নই তুলবো না। এবং আমরা এনআরসি তালিকা তৈরি করবো না।"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)