This Article is From Aug 30, 2019

মোদির পাঁচ ট্রিলিয়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাধা, ঋণে জর্জরিত জাতীয় সড়ক নির্মাণ সংস্থা NHAI

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) হাইওয়ের নির্মাণ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন NHAI-কে। ঋণের বোঝায় জর্জরিত এই জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থা

মোদির পাঁচ ট্রিলিয়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাধা, ঋণে জর্জরিত জাতীয় সড়ক নির্মাণ সংস্থা NHAI

হাইওয়ের নির্মাণ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর (প্রতীকী চিত্র)

হাইলাইটস

  • গত পাঁচ বছরের ঋণের বোঝায় জর্জরিত জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থা
  • হাইওয়ের নির্মাণ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের
  • ১৭ আগস্ট সরকারি এই সংস্থাকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে

অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে উন্মুখ ভারতের সামনে নতুন করে বাধা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) হাইওয়ের নির্মাণ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেন। গত পাঁচ বছরের ঋণের বোঝায় জর্জরিত জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থা ন্যাশনাল হাইওয়েস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI)। ১৭ আগস্ট সরকারি এই সংস্থাকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘‘ন্যাশনাল হাইওয়েস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া বিনা পরিকল্পনায় ও অতিরিক্ত পরিমাণে রাস্তা প্রসারে আটকে গিয়েছে। এনএইচএআই বেশ কয়েকবার জমির দাম দিতে বাধ্য হয়েছে। নির্মাণের খরচও বাড়ছে। রাস্তার পরিকাঠামো রাখা তাই অর্থনৈতিক ভাবে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।'' প্রধানমন্ত্রীর দফতর প্রস্তাব ‌দিয়েছে এই সংস্থাকে সড়ক-সম্পদ ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় রূপান্তরিক করা হোক।

সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ সূত্রে জানা গিয়েছে, একসপ্তাহের মধ্যে এই চিঠির উত্তর চাওয়া হয়েছে।

‘অমিত ভাই, আপনিই সত্যিকারের কর্মযোগী' মুকেশ আম্বানির ঢালাও প্রশংসায় স্নাত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পর্যায়ে অবশ্য এর বিপরীত অবস্থানেই ছিল মোদি সরকার (Modi Government)। দ্রুত হাইওয়ে নির্মাণের ফলে ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুত হারে বাড়তে থাকা অর্থনীতির দেশ হবে, এটাই ছিল দাবি। কিন্তু ক্রমে বাড়তে থাকা খরচের জন্য সংস্থাকে সরকারের উপরে বেশি করে নির্ভরশীল হতেই হচ্ছি‌ল। এদিকে এই মুহূর্তে বাজেটের ঘাটতি নিয়ে বিপর্যস্ত মোদি সরকার।

কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে যে কেবল হাইওয়ের নির্মাণই বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে তা নয়। অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হবে, যেগুলি এই নির্মাণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এমনটাই জানিয়েছেন ইনফ্রানমিক্স কনসাল্টিং এলএলপি-র সহযোগী বিকাশকুমার সারদা।

অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও পরিকাঠামোয় বিনিয়োগের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিতব্য তথ্য থেকে সম্ভবত দেখা যাবে ভারতের শেষ ত্রৈমাসিকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৫.৭ শতাংশ। যা গত পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন।

সরকার চাইছে এনএইচএআই তাদের প্রকল্প কোনও অন্য সংস্থাকে দেবে নিলামের মাধ্যমে। সেই সংস্থা রাস্তা নির্মাণ করে, টোল ট্যাক্স সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময় পরে এই রাস্তার মা‌লিকানা ফিরিয়ে দেবে এনএইচএআই-কে।

এনএইচএআইয়ের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ১.৮ ট্রিলিয়ন টাকা। যার ফলে বার্ষিক সুদ বেড়ে দাঁড়াবে ১৪০ বিলিয়ন টাকায়। টোল ট্যাক্স বাবদ প্রাপ্ত অর্থ ১০০ বিলিয়ন থেকে যা অনেক বেশি। এসবিআইক্যাপ সিকিউরিটিস লিমিটেডের হিসেব থেকে এমনটা জানা যাচ্ছে।

এনএইচএআইয়ের ঋণের বাধ্যকতা—

২০১৯-২০ সালে ৫৬ বিলিয়ন

২০২০-২১ সালে ৬৬ বিলিয়ন

২০২২-২৩ সালে ৪৭ বিলিয়ন

এগুলি যোগ হবে বার্ষিক সুদের খরচের সঙ্গে। অ্যান্টিক স্টক ব্রোকিং ‌লিমিটেডের পক্ষে রোহিত নটরাজন এই হিসেব জানান সোমবার।

প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে এবিষয়ে জানতে চেয়ে মেল করা হলে কোনও উত্তর তারা দেয়নি। এনএইচএআই উত্তর দিতে অস্বীকার করেছে। মঙ্গলবার মিন্ট সংবাদপত্রকে সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছেন, ওই চিঠিতে কেবল পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং এনএইচএআই-এর যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে ঋণের বোঝা সামলে রাস্তা নির্মাণ চালিয়ে যাওয়ার।

.