Read in English
This Article is From Sep 11, 2019

সিনেমা হলেও সত্যি! জেনে নিন The Sky Is Pink-এর আয়েশার বাস্তব জীবনের হার না মানা গল্প

জয়পুর সাহিত্য উত্সবে আয়েশার বই প্রকাশ হয়। ঠিক একদিন পরে ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫ সালে আয়েশার মৃত্যু হয়।

Advertisement
অফবিট Translated By

২০১৪ সালে একটি TEDx Talk-এ আয়েশা চৌধুরী

মঙ্গলবার ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক' (The Sky Is Pink) সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে। পরিচালক শোনালি বোসের (Shonali Bose) প্রথম ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra) এবং ফারহান আখতার (Farhan Akhtar) অভিনয় করেছেন। আর জাইরা ওয়াসিম তাদের অনস্ক্রিন কন্যা আয়েশার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ট্রেলার দেখে সকলেরই জানা জাইরা Busulfan Lung Damage–এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমুখী। আর এও ট্রেলারের সৌজন্যেই জানা যে, গল্পটি বাস্তবের একটি ঘটনা থেকেই অনুপ্রাণিত। ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক' আয়েশা চৌধুরীর (Aisha Chaudhary) বাস্তব জীবনের গল্প থেকেই অনুপ্রাণিত যিনি অনাক্রম্যতার অভাবজনিত ব্যাধি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮ বছর বয়সেই মারা যান।

আয়েশা চৌধুরী (Aisha Chaudhary) ১৯৯৬ সালে এসসিআইডি অর্থাৎ সিভিয়ার কম্বাইন্ডড ইমিউনো-ডেফিসিয়েন্সি (Severe Combined Immuno-Deficiency) নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যখন আয়েশার প্রথম অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হয়েছিল তখন তাঁর বয়স মাত্র ছয়। ফুসফুসের ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত ছিলেন আয়েশা। এ এমন এক রোগ যাতে ফুসফুতে ক্ষত জন্মায়, ফুসফুস শক্ত হয়ে ওঠে। তবে আয়েশার অসাধারণ আশাবাদী মন অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। 

লিউকোমিয়ায় নেতিয়ে পড়ছে শিশু! অবুঝ, তবু ছায়াসঙ্গী হয়ে সেবায় ৫ বছরের দিদি

Advertisement

আয়েশার ফুসফুসগুলি তাদের কার্যক্ষমতার অর্ধেকেরও কম কাজ করত। হাঁটাচলা থেকে শুরু করে জিনিসপত্র তোলা সবই বারণ ছিল আয়েশার। এমনকি আশেপাশে যেতে হলেও হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হয়েছিল তাঁকে- তবে কোনওটিই আয়েশাকে দমাতে পারেনি। দিল্লির আমেরিকান দূতাবাস বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা কিশোর বয়সেই একজন প্রখ্যাত অনুপ্রেরণামূলক বক্তা এবং লেখক হয়ে উঠেছিলেন।

TEDx Talks-এর কাছে আয়েশা আসলে ‘নিরবিচ্ছিন্ন আশাবাদ' এবং ‘অসম্ভব প্রতিকূলতার মধ্যেও অসাধারণ প্রাজ্ঞতা'র এক নতুন নাম। ২০১৪ সালে TEDx Talks চলাকালীন আয়েশা বলেছিলেন, “আসলে ভালো থাকা হল একটা ইচ্ছা। এমন একটা জিনিস যদি থাকে যেটা সত্যিই আমার কাছে খুব অর্থবহ, তাহলে সেটা হল খুশি থাকা। আমি হয় খুশি থাকতে পারি, শত দুঃখেও হাসতে পারি অথবা কঠিন জীবনকে আরও কঠিন করতে পারি!” আয়েশার কথায়, “যদি আমার পালমোনারি ফাইব্রোসিস থাকেই হয় তবে আমি চাই একটু খুশি মতো পালমোনারি ফাইব্রোসিস থাকুক।”

  .  

“যেন অন্যায় করে ফেলেছি কোনও!” সিনেমা চুরির অভিযোগে মুখ খুললেন সাহুর পরিচালক

Advertisement

২০১৫ সালে তাঁর ‘মাই লিটল এপিফাইনিস' (My Little Epiphanies) বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। ব্লুমসবেরির মতে, ২০১৪ সাল আয়েশার জীবনে ছিল দুর্বিষহ! তাঁর ফুসফুসের দুরারোগ্য রোগ ক্রমেই বাড়ছিল এবং ফুসফুস একপ্রকার কাজ করা বন্ধই করে দেয়। ওই বছরেই শেষ কয়েক মাস আয়েশা বিছানায় শুয়ে থেকেই তাঁর নানা চিন্তাভাবনা লিখে রেখেছিলেন যা পরে ‘মাই লিটল এপিফাইনিস' বইয়ে সংকলিত হয়েছিল। জয়পুর সাহিত্য উত্সবে আয়েশার বইটি প্রকাশ হয়। ঠিক একদিন পরে ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫ সালে আয়েশার মৃত্যু হয়।

Advertisement