হাতি উদ্ধারে আর্কিমিডিসের সূত্রর শরণাপন্ন ঝাড়খণ্ডের বন দফতর। মঙ্গলবার সাত সকালে সে রাজ্যের (Jharkhand) গুমলাতে এক হাতিকে কুয়োর মধ্যে আটকে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। গুমলার (Gumla) আমলিয়া টোলির ওই গ্রাম, বিপন্ন হাতিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে বন দফতরে খবর পাঠায়। এরপরেই গুমলার বন দফতরের কর্মীরা ছুটে আসেন। তাঁরা স্থূলকায় ওই জীবকে উদ্ধারে প্রয়োগ করেন আর্কিমিডিসের সূত্র (Archimedes' principle)। তাতেই কেল্লাফতে! বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক পন্থা অনুসরণ করে বন মন্ত্রকের কুর্নিশ কুড়িয়েছেন বনকর্মীরা। ইয়াহু নিউজের খবর, ঘটনাস্থলে গিয়ে বন দফতরের কর্মীরা বুজে যাওয়া সেই কুয়ো তিনটি পাম্পের সাহায্যে জলভর্তি করেন। এর ফলে জলের চাপে ধীরে ধীরে ওপরে ভেসে ওঠে সেই হাতি। ওপরের দিকে কাঠের তক্তা দিয়ে আগে থেকেই তৈরি করা ছিল র্যাম্প। সেই র্যাম্প বেয়ে এরপর কুয়োর বাইরে বেরিয়ে আসে সেই হাতি।
এই ঘটনায় স্পষ্টতই খুশি কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রক। আইএফএস আধিকারিক রমেশ পাণ্ডে গুমলার ডিভিশনাল বন আধিকারিক ও রাজ্য বন দফতরকে এই সাফল্যের জন্য বাহবা দিয়েছেন। তিনি টুইটে লেখেন, "মন ভালো করে দেওয়া ছবি। উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে গুমলা বন দফতর ও গ্রামবাসীরা ওই হাতিকে উদ্ধার করেছেন। বিপর্যয়ের সময় আর্কিমিডিসের সূত্র ব্যবহার করে মুক্ত করেছে একটা হাতির ছানাকে। ওরা কুয়োতে জল ফেলে, সেই হাতিকে সাহায্য করেছে ভেসে উঠতে। অসাধারণ!"
সেই টুইট দেখে অন্য নেটিজেনরাও এই উপস্থিত বুদ্ধির তারিফ করেছেন।
জানা গেছে, কুয়োতে ঘণ্টা খানেক আটক থাকলেও সেই হাতির কোনও আঘাত লাগেনি। মুক্ত হয়ে বেশ হেলতে দুলতেই জঙ্গলে ঢুকে গিয়েছে ওই স্থূলকায় জীব।