রোগীদের কেন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে, শাব্বা হাকিমের পোস্টে সে ব্যাপারেও মন্তব্য করা হয়েছে।
হাইলাইটস
- জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘটের ব্যাপারে মমতা সরকারের সমালোচনা মেয়রের মেয়ের।
- রোগীদের কেন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে, সে ব্যাপারেও তিনি তাঁর মত জানিয়েছেন
- চিকিৎসক ও সরকারের দ্বন্দ্ব রাজ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
কলকাতা: জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘটের ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের প্রতিক্রিয়াকে প্রবল ভাবে সমালোচনা করলেন কলকাতার (Kolkata) মেয়র (Mayor) ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কন্যা, যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। শাব্বা হাকিম একটি ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ' ও ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা' চাওয়া চিকিৎসকদের অধিকার। তিনি লেখেন, ‘‘একজন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক হিসেবে আমাদের নেত্রীর নিষ্কৃয়তা ও নীরবতার জন্য আমি অত্যন্ত লজ্জিত।'' চিকিৎসক ও সরকারের দ্বন্দ্ব রাজ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। রাজ্য সরকার পরিচালিত এক হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকের উপরে হওয়া হামলার প্রতিবাদে প্রায় তিন দিন ধরে চিকিৎসকরা প্রতিবাদ করছেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দুপুর দু'টোর মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশকে চিকিৎসকরা প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁদের দাবি, সবার আগে নিরাপত্তা দরকার। এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে, চিকিৎসকদের ধর্মঘটে প্ররোচনা দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি: মমতা
রোগীদের কেন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে, শাব্বা হাকিমের পোস্টে সে ব্যাপারেও মন্তব্য করা হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘‘দয়া করে সরকারকে জিজ্ঞেস করুন সরকারি হাসপাতালে নিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকরা কেন চিকিৎসকদের সুরক্ষা দিতে পারলেন না? দয়া করে জিজ্ঞেস করুন, দুই ট্রাক ভর্তি গুন্ডা হানা দিলে কেন তাদের আটকানো হল না? দয়া করে প্রশ্ন করুন, কেন গুন্ডারা হাসপাতালের আশপাশে ঘুরছে ও চিকিৎসকদের উপরে হামলা চালাচ্ছে?''
হেলমেট পরে চিকিৎসা করে বাংলার সমর্থনে AIIMS চিকিৎসকরা, কাল বয়কটের ডাক
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের কারণে হাসপাতালগুলি থেকে নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয় নির্বাচনের আগে। সরকার আবার তাদের ওই সব জায়গায় পুনর্বহাল করবে।
বিরোধীরা দাবি করেছে, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে মমতার উচিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া।
মমতা অবশ্য বিজেপি ও সিপি(আই)এমকে দায়ী করেছেন এই পরিস্থিতি তৈরিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে।
তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি, সিপিএমের সাহায্য নিয়ে হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি করছে। আমি ওদের প্রেম দেখে চমকে গিয়েছি... বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ তাঁর দলীয় ক্যাডারদের উসকানি দিচ্ছেন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করার এবং ফেসবুকে প্রোপাগান্ডা চালানোর।''