জেএনইউয়ে মুখোশধারী দুষ্কৃতীদের হামলায় (JNU Attack) আহত হন ৩৪ জন পড়ুয়া ও অধ্যাপক।
নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) চত্বরে রবিবার মুখোশধারী দুষ্কৃতীদের হামলায় (JNU Attack) আহত হন ৩৪ জন পড়ুয়া ও অধ্যাপক। হামলায় অভিযুক্ত বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (ABVP)। এই পরিস্থিতিতে বুধবার জেএনইউয়ের এক ছাত্র দাবি করলেন, তিনি মুখোশধারী দুষ্কৃতীদের কবল থেকে বাঁচতে নিজেকে এবিভিপির সদস্য বলে পরিচয় দেওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা! ছাত্রের নাম রাজেশকুমার আর্য। কংগ্রেসের সত্যসন্ধানী কমিটির কাছে তিনি এই ঘটনার কথা জানান। কংগ্রেসের এই কমিটি আহত পড়ুয়া ও অন্যান্য সাক্ষীদের কাছ থেকে বিবৃতি সংগ্রহ করছে। রাজেশের বর্ণনা অনুযায়ী, রবিবার ৬.৪৫ নাগাদ হাতুড়ি, লোহার রড, লাঠি নিয়ে প্রায় ২০ জন মুখোশধারী ঢুকে পড়ে সাবরমতী হোস্টেলে।
‘‘মহান ব্যক্তিত্ব'': দীপিকা পাড়ুকোনকে বিঁধলেন জেএনইউয়ের উপাচার্য জগদীশ কুমার
ওই ছাত্রের বক্তব্য, ‘‘আমার ঘর ছিল হোস্টেলের তিনতলায়। আমি নীচে তাকাতেই দেখতে পাই ওরা একটার পর একটা রুমে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধর করছে। অধিকাংশেরই মুখ ঢাকা।'' এরপর রাজেশকে দেখতে পেয়েই একজন বলে ওঠে, ‘‘ওই দেখো, উপরেও লোক রয়েছে।'' এরপরই ভয় পেয়ে রাজেশ ঘরে ঢুকে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ কর দেয়।
এরপর দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে দুষ্কৃতীরা। তারা কাঁচ ভেঙে দেয়। ভীত রাজেশ নিজেকে দুষ্কৃতীদের হাতে সঁপে দেয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি হাতজোড় করছিলাম। ওরা আমাকে ধাক্কা দিতে দিতে কোনায় নিয়ে যায়। কেউ কেউ আমার বিছানার কাছে দাঁড়িয়েছিল। ওরা আমার নাম ও আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পর্কে জানতে চাইছিল।''
জেএনইউ-কাণ্ডের প্রতিবাদ করতে ভীত নই: ক্যাটের অন্যতম সেরা দেবর্ষি চন্দ
তিনি আরও বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছিল, ওকে শুইয়ে মারধর করতে শুরু কর। তখনই আমি বলি আমিও এবিভিপির। ওরা তখন বলল, দলের কাকে কাকে আমি চিনি। আমি কয়েকটা নাম বললেও ওরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এরপর ওরা আমার কাছে আরও প্রমাণ চায়। তখন আমি হিন্দু জাতীয়তাবাদের উপরে যে বইটা পড়ছিলাম সেটা দেখাই। ওরা বইটার নাম পড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।''
কংগ্রেসের মুখপাত্র সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, তাঁরা ফ্যাকাল্টি সদস্যরা ও পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করছেন। তিনি বলছেন, ‘‘আমরা আগাম কোনও রায় দিতে চাই না। কারণ নানা রকম দাবি শোনা যাচ্ছে।''