শুধু রাজধানী নয় গোটা রাজ্যেই গোলমাল ছড়িয়ে পড়েছে
হাইলাইটস
- শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছেন ৫০ বছরের কম বয়সী দুই মহিলা
- এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কেরালায়
- মন্দিরও ‘শুদ্ধিকরণের’ জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর
তিরুঅন্তপুরম: সকালেই তৈরি হয়েছে ইতিহাস। শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছেন ৫০ বছরের কম বয়সী দুই মহিলা বিন্দু এবং কঙ্কনা দুর্গা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কেরালায়। রাজধানী তিরুঅন্তপুরমে ডানপন্থী সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে বামপন্থী সংগঠন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাঁদুনে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে পুলিশ। শুধু রাজধানী নয় গোটা রাজ্যেই গোলমাল ছড়িয়ে পড়েছে। মন্দিরও ‘শুদ্ধিকরণের' জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। দীর্ঘ সময় ধরে থমথমে হয়ে রয়েছে তিরুঅন্তপুরমের পরিস্থিতি। প্রায় চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে আছে শহর। বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে। বিন্দু এবং কঙ্কনা নামে ওই দুই মহিলা বুধবার মন্দিরে প্রবেশ করেছেন। ভগবান আয়াপ্পার এই মন্দিরে এতদিন ঋতুমতি মহিলাদের প্রবেশাধিকার ছিল না।
রাফাল নিয়ে বলতে গিয়ে বন্ডের প্রসঙ্গ তুললেন জেটলি, ‘শুধরে' দিলেন সৌগত
সুপ্রিম কোর্ট কয়েক মাস আগে সেই রায় দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর বুধবার ভোরের দিকে পাহাড়ে ঘেরা মন্দিরে প্রবেশ করেন এই দুই মহিলা। দুজনেরই বয়স চল্লিশের আশপাশে। জানা গিয়েছে ভোর পৌনে চারটে থেকে পাহাড়ে ওঠা শুরু করেন দুই মহিলা। আর তারপরই পৌঁছে যান ভগবান আয়াপ্পার মন্দিরে। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশও সাধারণ পোশাকে উপস্থিত ছিল। ঋতুমতি মহিলাদের প্রবেশের পর ‘শুদ্ধিকরণের' জন্য মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি বলেন, মহিলারা প্রবেশ করেছেন - এ খবর সত্য। যাঁরা মন্দিরে যেতে চান তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া পুলিশের দায়িত্ব।
হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কালো পোশাক পরে মন্দিরে দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন দুই মহিলা। সঙ্গে আছে পুলিশ। দেখা গিয়েছে কিছু বিক্ষোভকারীকেও। আয়াপ্পা ধর্ম সেনার নেতা রাহুল ঈশ্বর বলেন "আমার মনে হয় না ব্যাপারটা সত্যি। গোটা ব্যাপারটাই খুব সন্তর্পণে হয়েছে, আমাদের জানা থাকলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম"।
এই দুই মহিলা এর আগে ডিসেম্বর মাসেও মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু বাধা পাওয়ায় তাঁদের ফিরে আসতে হয়।
সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পর থেকে অনেকেই মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বার বার খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁদের। অবশেষে এল সাফল্য। তৈরি হল ইতিহাস। তারপরই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে ।