অসমের এনআরসি চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম।
রাজ্যে সদ্যসমাপ্ত উপ নির্বাচনে তিনটি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে ঝড় তোলার পর আচমকাই ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। এই ধাক্কার পিছনে অন্যতম কারণ হিসেবে সামনে আসছে এনআরসি (NRC) আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি (CAB) সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে সোমবার জানালেন রাজ্যের এক বর্ষীয়ান বিজেপি (BJP) নেতা। করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর সদর বিধানসভা উপ নির্বাচনের সব ক'টিতেই হারতে হয়েছে বিজেপিকে। লোকসভা নির্বাচনের পর শাসক দলের সঙ্গে এই প্রথম লড়াই হল। আর তাতেই হারতে হল গেরুয়া শিবিরকে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি, অমিত শাহ নিজেরাই "অভিবাসী": অধীর রঞ্জন চৌধুরী
বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা জানাচ্ছেন, ‘‘উপ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে বসে আমরা দেখেছি আমাদের ক্যাডাররা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পর্কে জ্ঞাত নয়। ফলে তারা সেই বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারেনি। সেই কারণেই দলের তরফ থেকে ক্লাস, ওয়ার্কশপ ও সেমিনার করা হবে, যাতে ক্যাডাররা এই বিল সম্পর্কে বিশদে জানতে পারে।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের মিথ্যা প্রচারের মোকাবিলা করা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে।''
অসমে NRC-র পরে বিদেশি সাংবাদিকদের উপর জারি সরকারের নিষেধাজ্ঞা: RTI
আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যাঁরা সেখানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব চাইছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার এই বিল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হবে বলে বিজেপি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে।
ওই বিজেপি নেতা জানাচ্ছেন, ‘‘একবার বিলটি পাস হয়ে গেলে আমরা রাজ্য জুড়ে নাগরিক্তব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রচার চালাব। দলের ক্লাস, সেমিনার ও ওয়ার্কশপে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতারা এ বিষয়ে জানাবেন। পাশাপাশি এই বিষয়ে লিফলেট ও বই সীমান্তবর্তী এলাকায় বিতরণ করা হবে।''
অসমে এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে ১৯ লক্ষ জনের নাম। এর মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা ১২ লক্ষ। এর পরেই এরাজ্যের বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে এনআরসি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতির ফায়দা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, জানাচ্ছেন বিজেপি নেতা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)