জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফালাহ-এ-ইনসানিয়াতকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করল পাকিস্তান।
লাহোর: রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ অন্যান্য দেশের চাপের কাছে শেষমেশ নতিস্বীকার করল পাকিস্তান। ওই দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল পাক সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে ৪০ জনের বেশি সিআরপিএফ জওয়াম হত্যার ঘটনায় যে জঙ্গি সংগঠনের দিকে অভিযোগের তির, সেই জইশ-ই-মহম্নদের সদর দফতরের দখল নিল পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের ‘বন্ধু' রাষ্ট্র চিন সহ মোট ১৫'টি দেশ নিয়ে তৈরি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তার পরিষদের পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা নিয়ে বিবৃতিতে জইশ-ই-মহম্মদের নাম করে তীব্র নিন্দা করার পরই এই পদক্ষেপ নিল ইমরান খানের সরকার। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, “বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের দখল নিল পাকিস্তান সরকার”।
তিনি আরও বলেন, “বাহাওয়ালপুরের মাদ্রেসসাতুল সাবির এবং জামা-ই-মসজিদ সুভান্নাল্লারও দখল নিয়েছে সরকার। পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখার জন্য একজন প্রশাসককেও নিয়োগ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে”।
'জইশ'-এর নাম উল্লেখ করল রাষ্ট্রপুঞ্জ, নিজেদের বক্তব্য নিয়েই ঢোক গিলল চিন
লাহোর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাহাওয়ালপুর।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে একটি বৈঠকের পরই জইশ-ই-মহম্মদ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা হয়।
ওই ক্যাম্পাসে বর্তমানে ৭০ জন শিক্ষক ও ৬০০ জন পড়ুয়া রয়েছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দেখভাল করছে পাঞ্জাব পুলিশ।
২০০৮ সালে মুম্বাই হানার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের জামাত-উদ-দাওয়া এবং তার সঙ্গে যুক্ত সংগঠন ফালাহ-এ-ইনসানিয়াত সংগঠনকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেল পাকিস্তান বৃহস্পতিবার।
এতদিন এই দুই সংগঠনের ওপর নজর রাখছিল সরকার।
২০১৪ সালের জুন মাসে বিদেশি জঙ্গি সংগঠন বলে জামাত-উদ-দাওয়াকে চিহ্নিত করে আমেরিকা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)