This Article is From May 18, 2020

সূর্যেও যেন লকডাউন! পৃথিবীতে হতে পারে ভূমিকম্প, বাড়তে পারে শীত

সূর্যও (Sun) যেন চলে যাচ্ছে লকডাউনে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ফলে অনেক স্থানে ঠান্ডার পরিমাণ বাড়বে। হতে পারে ভূমিকম্প।

সূর্যেও যেন লকডাউন! পৃথিবীতে হতে পারে ভূমিকম্প, বাড়তে পারে শীত

যেন লকডাউনে চলে যাচ্ছে সূর্যও !

নয়াদিল্লি:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের ধাক্কায় বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশে নির্গত ক্ষতিকারক গ্যাসগুলির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। ফলে পরিবেশ অনেকটাই হারানো শুদ্ধতা ফিরে পেয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে অন্য আশঙ্কা। সূর্যও (Sun) যেন চলে যাচ্ছে লকডাউনে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ফলে অনেক স্থানে ঠান্ডার পরিমাণ বাড়বে। হতে পারে ভূমিকম্প। এমনকী ফসলের উপরে নঞর্থক প্রভাবও পড়বে। ‘দ্য সান'-এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সূর্য এখন ‘সান মিনিমাম' অবস্থায় রয়েছে। এর অর্থ সূর্যপৃষ্ঠের উপরে ঘটে চলা ক্রিয়াকলাপ হ্রাস পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সূর্যের শরীরে সৌর কলঙ্কের চিহ্নও হ্রাস পাচ্ছে।

বিজ্ঞানী ড. টনি ফিলিপস জানাচ্ছেন, ‘‘সোলার মিনিমাম শুরু হয়েছে। এবং এটা বেশ গভীর। সূর্যের শরীরে সৌর কলঙ্কের চিহ্ন হ্রাস পাচ্ছে। সূর্যের চৌম্বক ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত মহাজাগতিক রশ্মি সৌরজগতে প্রবেশ করছে।''

তিনি আরও জানান, ‘‘অতিরিক্ত মহাজাগতিক রশ্মির ফলে মহাকাশচারী ও মেরু বিমানের যাত্রীদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। নাসার বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এর ফলে ১৭৯০ থেকে ১৮৩০-এর মধ্যে উদ্ভুত ডালটন মিনিমাম ফিরে আসতে পারে। এর ফলে তীব্র শীত, খরা, অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে ফসলের উৎপাদনেও।''

১৮১৫ সালের ১০ এপ্রিল দ্বিতীয় সর্বাধিক অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল। ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট টাম্বোরাতে হওয়া ওই অগ্ন্যুৎপাতে ৭১,০০০ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। পরের বছর অর্থাৎ ১৮১৬ সালকে বলা হয় ‘বিনা গ্রীষ্মের বছর'। সেবার জুলাই মাসে বহু জায়গায় বরফ পড়তে দেখা গিয়েছিল। 

.