This Article is From May 28, 2018

সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠানো সুনন্দা পুষ্করের বার্তাগুলিকে মৃত্যুর ঘোষণা হিসাবেই ধরা হয়েছে: পুলিশ

সুনন্দা পুষ্কর তাঁর স্বামী শশী থারুরকে ইমেল করে বলেছিলেন যে তিনি বেঁচে থাকার ইচ্ছাই হারিয়ে ফেলেছেন, আজ আদালতে এই কথা জানায় দিল্লি পুলিশ

সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠানো সুনন্দা পুষ্করের বার্তাগুলিকে মৃত্যুর ঘোষণা হিসাবেই ধরা হয়েছে: পুলিশ

শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের মৃতদেহ 2014 সালের জানুয়ারিতে দিল্লির একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়।

নিউ দিল্লি: সুনন্দা পুষ্কর তাঁর স্বামী শশী থারুরকে ইমেল করে বলেছিলেন যে তিনি বেঁচে থাকার ইচ্ছাই হারিয়ে ফেলেছেন, আজ আদালতে এই কথা জানায় দিল্লি পুলিশ। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে 3000 পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে শশী থারুরের বিরূদ্ধে। সুনন্দা পুষ্করের ইমেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মেসেজগুলি যে মৃত্যুর ঘোষণা হিসাবেই দেখা হচ্ছে, তাও পুলিশ জানিয়েছে আদালতকে।
“আমার বেঁচে থাকার কোনও ইচ্ছা নেই… আমি এখন কেবলই নিজের মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করি”, সুনন্দা পুষ্কর একটি ইমেল করে তাঁর স্বামীকে জানুয়ারি মাসের 8 তারিখ এই কথা লেখেন। তার ন’দিন বাদেই দিল্লির বিলাসবহুল হোটেলের স্যুইটে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, তাঁর ঘর থেকে 27টি অ্যালপ্র্যাক্স ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছিল। কতগুলো ট্যাবলেট তিনি খেয়েছিলেন, সেটা অবশ্য পরিষ্কার নয়। আদালতকে জানানো হয়েছে যে, তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল বিষক্রিয়ায়।
বিশেষ তদন্তকারী দলকে উদ্ধৃত করে চার্জশিটে বলা হয়েছে, “শশী থারুর স্বামী হিসাবে প্রচণ্ড উপেক্ষা করতেন সুনন্দা পুষ্করকে সেই সময়ে যখন তাঁর সবথেকে বেশি দরকার ছিল তাঁর স্বামীকে, যখন তিনি ধীরে ধীরে অবসাদের অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছিলেন এবং অ্যালপ্র্যাক্স নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলেন”। চার্জশিটে বলা হয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রায়শই দাম্পত্য কলহ ঘটত।
চার্জশিটের সম্পূর্ণ অংশটি এখনও প্রকাশ্যে আসা বাকি। এতদিন সেই আদালতেই এই মামলার শুনানি চলছিল, যেখানে সাংসদ ও বিধায়কদের বিরূদ্ধে মামলাগুলির শুনানি হয়ে থাকে। কিন্তু, আগামী শনিবার থেকে এই মামলার শুনানি হবে বিশেষ আদালতে।
 
51 বছর বয়সী সুনন্দা পুষ্করের মৃতদেহ 17 জানুয়ারি উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর হোটেলের ঘরের বিছানা থেকে। এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে বিবাদের কয়েকদিনের মধ্যেই।
“থারুর সুনন্দার ফোন ধরতেন না”, বিশেষ তদন্তকারী দল আরও জানিয়েছে যে, মৃত্যুর আগের দিনও তাঁর ফোনকলগুলি না ধরে কেটে দিয়েছিলেন থারুর।
থারুরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য শেষমেশ সোশ্যাল মিডিয়ার দারস্থ হন সুনন্দা পুষ্কর। কিন্তু, সেখানেও তাঁর সমস্ত মেসেজের জবাবে কঠোর উপেক্ষাই ফিরিয়ে দিতেন থারুর।

shashi tharoor

 

.