Cyclone Amphan: তীব্র গতিতে শক্তি বাড়িয়ে ছুটে আসছে ঘূর্ণিঝড়
হাইলাইটস
- প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান
- মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা
- পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় নাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে
নয়া দিল্লি: ক্রমশই মারাত্মক থেকে অতি আকার নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান (Super Cyclone Amphan) । আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাসে জানিয়েছেন যে, ২০ মে 'আমফান' পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যে দিয়ে খুবই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় আকারে বয়ে যাবে। তবে যে গতিতে ওই ঝড় (Cyclone Amphan) এগিয়ে আসছে তা উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে, এর তীব্রতা কিছুটা কম হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। আপাতত ওই ঝড়ের গতি ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়, এটি (Amphan) আরও শক্তি বাড়িয়ে প্রতি ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটারও হতে পারে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গীয় অঞ্চলে প্রতি ঘণ্টায় ২৪০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার বেগে আমফানের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। পরিস্থিতি যা তাতে মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ এই গতি ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২১০ কিলোমিটারে নেমে আসতে পারে, আবার প্রতি ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
বাংলা এবং ওড়িশায় জারি আমফানের সতর্কবার্তা, বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা!
ক্ষতি করতে পারে কোথায় কোথায়
আবহাওয়া দফতরের মতে এই ঝড়ের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা (Odisha) এই দুটি রাজ্য। আমফানের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলী, নদিয়া জেলার। কাঁচা ঘর, পুরনো পাকা বাড়ি, উড়ন্ত জিনিস, রেল ও সড়ক যোগোযোগ, ফসল, বাগান, নারকেল গাছ সহ সবধরণের বড় গাছ, বড় জাহাজ, নৌকা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তারের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়।
ওড়িশায় এই ঝড় মূলত জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, জাজপুর, ময়ূরভঞ্জ এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাবে।
পশ্চিমবঙ্গের কাছেই আমফান; ফোন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্যের আশ্বাস অমিত শাহের
কত গতিতে বইবে ঝোড়ো হাওয়া?বাতাস কত দ্রুত চলবে
আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে সতর্ক করে "কমলা" সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে এই বলে যে, আমফানের ফলে কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের নির্দেশক জি কে দাস বলেছেন, মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চল এবং আশেপাশের অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার থাকতে পারে এবং পরে সেই গতি বেড়ে ৬৫ কিলোমিটারও হতে পারে। ২০ মে সকালে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
তিনি আরও বলেন যে, "এই ঝড়ের গতিই ধীরে ধীরে পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতায় গতি বাড়িয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিমি এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাগুলিতে ১৬৫ থেকে ১৭৫ কিমিতে পৌঁছে যাবে"।