লিঙ্গের ভিত্তিতে ভেদাভেদ থেকে সরে আসার সময় এসেছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) নেতৃত্বে কোনও মহিলা থাকতে পারেন কিনা এই নিয়ে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) মামলা চলছিল। সেই মামলায় মহিলাদের নেতৃত্বদানের বিরুদ্ধেই যুক্তি সাজান কেন্দ্রের আইনজীবী। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয় যে, সেনা বাহিনীকে নেতৃত্বে দেবেন কোনও মহিলা সেই মানসিকতা এখনও তৈরি হয়নি ভারতীয় সেনার মধ্যে। এই যুক্তিকে বৈষম্যমূলক ও বিরক্তিকর আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে (Supreme Court on Indian Army)এবার সময় হয়েছে এই ধরণের "চিরাচরিত ভাবনা" থেকে বেরিয়ে আসার। "মানসিকতা অবশ্যই বদলাতে হবে", পরিষ্কার জানায় সর্বোচ্চ আদালত। রায়দানের সময় বিচারপতিরা ক্যাপ্টেন তানিয়া শেরগিলের উদাহরণ তুলে ধরেন, যিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে পুরুষ দলের নেতৃত্ব দেন।
ভারতীয় সেনায় মহিলা নেতৃত্ব প্রসঙ্গে চলা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ:
মানসিকতার অবশ্যই পরিবর্তন করা দরকার। লিঙ্গের ভিত্তিতে বিচার করে কেন্দ্রীয় সরকার যে যুক্তিগুলি দিয়েছে তা অত্যন্ত বিরক্তিকর, মহিলাদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং একটি চিরাচরিত ধারণা।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন দরকার, ভারতীয় সেনার নেতৃত্ব দিতে পারেন মহিলারাও, বলল শীর্ষ আদালত।
"মহিলাদের শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যগুলির সঙ্গে তাঁদের অধিকারের কোনও যোগসূত্র নেই" , বলল সুপ্রিম কোর্ট।
যৌক্তিকতার অধিকার থেকেই সমতার অধিকার আসে। লিঙ্গের ভিত্তিতে এ ক্ষেত্রে ভেদাভেদ করলে মহিলাদের মর্যাদাবোধ ক্ষুণ্ণ হয় এবং সেটা হলে দেশের পক্ষেও একটি প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।
এখন সময় এসেছে মহিলা অফিসারদেরও পুরুষ অফিসারদের সমকক্ষ ভাবার। কেননা মহিলারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুরুষদের সঙ্গে কাজ করেন।
Advertisement
COMMENTS
Advertisement