৪০টি নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত কর্মীও মামলা দায়ের করেন
অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলা (Ayodhya land dispute case) নিয়ে রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে করা ১৮টি মামলাই খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) । সাধারণ রীতি অনুযায়ী, চেম্বারে, খোলা আদালতে নয়, এই মামলার শুনানি হয় প্রধানবিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চে। মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনেল ল বোর্ড এবং নির্মোহি আখরা। এছাড়াও ৪০টি নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত কর্মীও মামলা দায়ের করেন, যদিও তাঁরা মূল মামলার অংশ ছিলেন না। সমস্ত মামলাকারী জোর দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা শান্তি বিঘ্নিত করতে চান না, তবে এও জানিয়েছেন যে, সমস্ত শান্তিই বিচারপ্রক্রিয়ার সহায়ক হওয়া উচিত।
অযোধ্যা মামলার রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জির শুনানি বৃহস্পতিবার
মুসলিম মামলাকারীরা বলেছেন, মামলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, তাঁরা সবসময়েই শান্তি চান, তবে তাঁরা সবসময়েই হিংসা ও অন্যায্যতার শিকার হন। এই পুনর্বিবেচনার আর্জি তাঁদের বিচারের অভীষ্ট লক্ষেই বলেও জানিয়েছেন মুসলিম মামলাকারীরা।
একটি মামলায় বলা হয়েছে, এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের শুনানি “ধ্বংসের মারাত্মক অবৈধতাকে ক্ষমা করা হয়েছে, অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন করা এবং মসজিদ ভাঙা সহ আইনের শাসন ভঙ্গ করা এবং তা ধ্বংস করা হয়েছে”।
মামলার আবেদনে, নির্মোহি আখরা, জানিয়েছে, তাদের ভূমিকা নিয়ে খোঁজখব করছে তারা। ট্রাস্টে আখরার তরফে “উপযুক্ত প্রতিনিধি” রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, ওই জায়গায় মন্দির নির্মাণের দেখভাল করবে ওই ট্রাস্ট।
মসজিদে মূর্তি রাখার পরই অযোধ্যায় মামলা শুরু হয়: শীর্ষ আদালত
৯ নভেম্বর, অযোধ্যা মামলার রায় দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ. সেই রায়ে অযোধ্যআর বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির সবটাই রামলালাকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যায় “উপযুক্ত, ভাল জাগায়” সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্ট, সেখানে বলা হয়, মসজিদ নির্মাণের আগে সেখানে কোনও নির্মাণ ছিল, তবে তা মন্দির কিনা, তার উল্লেখ নেই। ১,০৪৫ পাতার নির্দেশে, সুপ্রিম কোর্ট সহমত পোষণ করে যে, মসজিদদের অধিকার থেকে অন্যায়ভাবে মুসলিমদের বঞ্ছিত করা হয়েছিল।