Read in English
This Article is From Dec 27, 2019

'মেয়ের খুনি মা নন': সুপ্রিম রায়ে বদলে গেল যাবজ্জীবন বন্দিনীর জীবন

দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দাবি, "পুরোটাই সাজানো, অস্বাভাবিক।" এক পুত্রসন্তান থাকার পরে মেয়ে হলে কোনও মা তাকে খুন করতে পারেন না।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

মেয়েকে খুন করেননি মা: সুপ্রিম কোর্ট

New Delhi:

মাথায় সদ্যজাত মেয়েকে খুনের কলঙ্ক। নিম্ন আদালত থেকে Delhi High Court---সব জায়গাতেই এক রায়, এমন ঘৃণ্য অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে Supreme Court-র দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা। অবশেষে ন্যায়বিচার পেলেন তিনি। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে, মেয়েকে খুনের অভিযোগ থেকে রেহাই মিলল তাঁর। যাবজ্জীবন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে কাটানোর বদলে মুক্ত জীবন ফিরে পেলেন তিনি। মায়ের এই 'অলৌকিক মুক্তি'র খবরে ছড়াতেই বিস্ময়ে হতবাক সাধারণ মানুষ। যদিও সমস্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ বিচার করেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দাবি, "পুরোটাই সাজানো, অস্বাভাবিক।" এক পুত্রসন্তান থাকার পরে মেয়ে হলে কোনও মা তাকে খুন করতে পারেন না। সাক্ষ্য-প্রমাণেও এমন কোনও তথ্য নেই যা প্রমাণ করে মেয়ে হওয়ার অপরাধে মা-ই খুনি তাঁর কন্যা সন্তানের!

'এখনও এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি', এই দাবি সাময়িক বিরতি, পূর্ণবিরতি না: প্রশান্ত কিশোর

২০০৭-এর ২৪ অগাস্ট হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই মা। পরিবারের সদস্যরা এরপরেই তাঁর দিকে সন্তান হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বিরুদ্ধে। প্রথমে ২০০৭-এর ৩১ অগাস্ট নিম্ন আদালতে এবং পরে ২০১০-এর মার্চে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে, শ্বাসরোধেই সদ্যোজাত কন্যার মৃত্যু হওয়ায় এবং গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন সুস্পষ্ট থাকার কথা উল্লেখিত হওয়ায় দুই আদালতেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে তাঁর।

Advertisement

তাতেও না দমে এরপর ওই মহিলা পৌঁছোন উচ্চ আদালতে। সেখানেই প্রমাণিত হয়, নিজের মেয়েকে খুন করেননি তিনি। কারণ, জন্মের পর থেকেই সদ্যোজা চোখ খোলেনি, কাঁদেওনি। ফলে, তড়িঘড়ি তাকে অক্সিজেন দিতে ভর্তি করা হয় নিওনেটাল বিভাবে। সেখানে কোনওভাবে অক্সিজেনের নল পেঁচিয়েও মৃত্যু হতে পারে শিশুর। কারণ, পরে যখন তাকে মায়ের কোলে দেওয়া হয় তখনই তার দেহে প্রাণ ছিল না।

"আমরা বুলেটের মুখোমুখি হতে জন্মাইনি": প্রতিবাদী অরুন্ধতী রায়

Advertisement

সুপ্রিম রায়ে খুশি মায়ের মন্তব্য, এক যুগ ধরে মিথ্যে কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরেছেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বিচারের প্রতি আবার আস্থা ফিরবে জনগণের।

Advertisement