Read in English
This Article is From Jan 23, 2019

"হাইকোর্টের সাজা বিতর্কিত" বলে গুজরাট দাঙ্গার ৪ অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট

তদন্তকারীদের দাবি, গোধরা ট্রেন জ্বালিয়ে ৫৯জন হিন্দু যাত্রীকে খুন করার ঘটনার প্রতিবাদে আমেদাবাদের নিকটবর্তী নারোদা পাটিয়াতে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে প্রায় ৯৭ জন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ খুন হন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া ,

নারোদা পাটিয়া কেসঃ "হাইকোর্টের সাজা বিতর্কিত" উল্লেখ করল সুপ্রিম কোর্ট

নিউ দিল্লি:

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার অন্যতম বড় ঘটনা নারোদা পাটিয়ায় অভিযুক্ত চারজনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। চার অভিযুক্ত উমেশভাই ভারওয়াদ, রাজকুমার, হরশাদ ও প্রকাশভাই রাঠোর সন্ত্রাস ও দাঙ্গার অভিযোগে হাইকোর্টে ১০ বছরের কারাদন্ডের দণ্ডিত হয়েছিল।

মঙ্গলবার তাদের জামিন দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন হাইকোর্ট যেভাবে সাজা দিয়েছিল তাতে কিছু প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে।  “হাইকোর্টের সাজা বিতর্কিত” বলে উল্লেখ করে তারা সাজা পরিবর্তন করেন।   

আরও পড়ুনঃ জঙ্গিসংগঠন আইএসআইএস-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৭ বছরের কিশোর সহ মহারাষ্ট্রে গ্রেফতার নয়

Advertisement

সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বাবু বজরঙ্গি সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনের শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে।

তদন্তকারীদের দাবি, গোধরা ট্রেন জ্বালিয়ে ৫৯জন হিন্দু যাত্রীকে খুন করার ঘটনার প্রতিবাদে আমেদাবাদের নিকটবর্তী নারোদা পাটিয়াতে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে প্রায় ৯৭ জন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ খুন হন।

Advertisement

গত বছর জুন মাসে গুজরাট হাইকোর্ট অভিযুক্তদের অপরাধ বিচার করে ১০ বছরের জেল হেফাজতের সাজা দিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ ৩১ জন রোহিঙ্গাকে ত্রিপুরা পুলিশের হাতে তুলে দিল বিএসএফ

Advertisement

হাইকোর্ট বাবু বজরঙ্গি সহ ১৬জনের সাজা ঘোষণা করেছিল। বাকি ১৮ জনকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহ করেছে। তাদের মধ্যে বিজেপি নেত্রী মায়া কোদনানির নাম উল্লেখযোগ্য।

“ঘটনায় যারা স্বজন হারিয়েছে তাদের দুঃখ কষ্ট কোর্ট অস্বীকার করছে না এবং একই সঙ্গে এই ঘটনায় যে সামাজিক প্রভাব আছে সেটাও আদালতের নজরে রয়েছে”, ২৫শে জুন জানিয়েছে আদালত।

Advertisement

রায় ঘোষণার সময় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, “এই মামলার সাজায় যদি নমনীয় মনোভাব দেখানো হয় তাহলে সত্যের অপলাপ হয়। তাই এই ঘটনার কড়া শাস্তিই প্রয়োজন।“

কোর্ট আরও জানিয়েছিল, “এই ধরনের ঘটনায় দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না হলে সমাজের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে।“

Advertisement