Jammu And Kashmir: ৫ অগাস্ট থেকে বন্দি করে রাখা হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওই নেতাকে
নয়া দিল্লি: ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah) মুক্তির বিষয়ে তাঁর বোনের আবেদনে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। জননিরাপত্তা আইনের (পিএসএ) আওতায় ওমর আবদুল্লাকে বন্দি রাখার বিষয়টি আদৌ বৈধ কিনা তা নিয়েও তদন্ত করবে শীর্ষ আদালত। আইনজীবী কপিল সিব্বলের করা জরুরি শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী ২ মার্চ মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। এর আগে জন নিরাপত্তা আইনে (Public Safety Act) ওমর আবদুল্লাকে বন্দি করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর (Omar Abdullah) বোন সারা আবদুল্লা পাইলট । অবিলম্বে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া হোক, শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান তিনি।
৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে সেখানকার বিশেষ রাজ্যের সুবিধা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তখন থেকেই ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়। সম্প্রতি তাঁদের উপর পিএসএ অর্থাৎ জন নিরাপত্তা আইনটিও চাপিয়ে দেওয়া হয়।
PSA আইনে ওমর আবদুল্লাকে বন্দি করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বোন
সম্প্রতি ওমর আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইন বন্দি করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। একটি ডসিয়ারের মাধ্যমে জানানো হয় কেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতাকে বন্দি করা হচ্ছে ওই কড়া আইনে। কেন্দ্রীয় সরকার ওই ডসিয়ারে আসলে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার বিরুদ্ধে "জঙ্গিবাদ এবং ভোট বয়কট চলাকালীনও সমর্থন সংগ্রহের চেষ্টা" অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওই ডসিয়ারে আরও বলা হয়েছে যে, ওমর আবদুল্লা যে কোনও সময়েই কাশ্মীরের লোকজনকে প্রভাবিত করতে পারেন এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বর্জনের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটারদের ঘর থেকে বাইরে বের করে আনার বিষয়ে তাঁর সক্ষমতার কথাও উল্লেখ করা রয়েছে সেখানে। "যে কোনও সময়ে লোকজনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। কেননা যেভাবে এর আগে জঙ্গিবাদের কারণে ভোট বয়কটের সময়েও তিনি ভোটারদের ঘরের বাইরে বের করে এনে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে উৎসাহিত করতে পেরেছিলেন তাতে বোঝা যায় যে তিনি মানুষকে যে কোনও বিষয়ে প্রভাবিত করতে সক্ষম", বলা হয়েছে ডসিয়ারে।
সন্ত্রাসবাদের আধিপত্যের সময়েও ভোট মিলেছে ওমর আবদুল্লার, আনা হল অভিযোগ
সারা আবদুল্লাহ পাইলট অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর দাদাকে এইভাবে গ্রেফতার করায় আসলে বাক স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই ধরণের পদক্ষেপ আসলে "সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে ধারাবাহিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ", একথাও বলেন তিনি। এরপরেই দেশের শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন ওমরের বোন।