প্রয়োজনে শহরে অন্য মসজিদে গিয়ে প্রার্থনা করতে হবে তাঁদের।
নিউ দিল্লি: বহিরাগতরা কেন তাজমহলে নামাজ পড়তে আসবেন? প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়েদিল আগ্রার বাসিন্দা নন এমন কেউ এখানে শুক্রবারের মাজ পড়তে পারবেন না। প্রয়োজনে শহরে অন্য মসজিদে গিয়ে প্রার্থনা করতে হবে তাঁদের।
কেন এরকম কথা বলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত? বিষিয়টির সূত্রপাত বেশ কয়েক মাস আগে। প্ৰশাসন এক নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানায় আগ্রার বাসিন্দা ছাড়া অন্য কেউ এখানে শুক্রবারের নামাজ পড়তে পারবেন না। আপত্তি তোলে মসজিদের একাংশ। বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর সমাধান সূত্রে বের না হওয়ায় তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত জানুয়ারি মাসে মামলা দায়ের হওয়ার পর শুনানি শুরু হয়। শেষ সর্বোচ্চ আদালতে আবেদনকারীদের দাবি খারিজ হয়ে গেল। মানে এখন থেকে আগ্রার বাসিন্দা নন এমন কেউ মমতাজের স্মৃতি বিজড়িত এই সৌধে শুক্রবারের নামাজ পড়তে পারবেন না।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি একে সিক্রি এবং অশোক ভূষণের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়ে মন্তব্য করে তাজমহল বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের একটি। তাই শহরের বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা অন্য্ মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারেন।
এ বছররে 24 জানুয়ারি আগ্রা উন্নয়ন পর্ষদ এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে। তাতে স্পষ্ট বলা হয় দেশ বা পৃথিবীর অন্য্ জায়গা থেকে আসা পর্যটকরা তাজমহলের মধ্যে অবস্থিত মসজিদে শুক্রবার প্রবেশ করতে পারবেন না। পর্ষদের দাবি ছিল বেশি সংখ্যায় মানুষ সেখানে প্রবেশ করলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। সেটা যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতেই নেওয়া হয়েছে এমন পদক্ষেপ। এখানা থেকেই বিবাদের শুরু।
সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেন মসজিদের পরিচালন কমিটির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইব্রাহিম হুসেন জাইদি। শুনানির সময় আবেদনকারীর তরফে বলা হয় এরকম নির্দেশ জারি করা বেআইনি। কিন্ত কোনও যুক্তিই মানতে চায়নি ডিভিশন বেঞ্চ। মানে আগ্রা উন্নয়ন পর্ষদের তরফে জারি করা নির্দেশিকা বলবৎ থাকছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)