Read in English
This Article is From May 28, 2020

পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ভাড়া নেওয়া যাবে না, রেল ও রাজ্যকে দিতে হবে খাবার: সুপ্রিম কোর্ট

আদালত জানিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের নথিভুক্তকরণ দেখভাল করবে রাজ্য, এবং সুনিশ্চিত করবে যাতে বাস অথবা ট্রেনে উঠতে পারেন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

আদালত আরও জানায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে বাস বা ট্রেনের কোনও ভাড়া নেওয়া যাবে না

নয়াদিল্লি:

করোনা ভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) কারণে আটকে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labourers) সাহায্যের জন্য বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, যখনই রাজ্য সরকার যেরকম রাজ্য সরকার ট্রেনের অনুরোধ জানাবে, সেইভাবে রেলকে দিতে হবে। আদালত আরও জানায়, যতক্ষণ পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেনে থাকবেন, ততক্ষণ তাঁদের খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে রেলকে।  এদিন শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আদালত জানিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের নথিভুক্তকরণ দেখভাল করবে রাজ্য, এবং সুনিশ্চিত করবে যাতে বাস অথবা ট্রেনে উঠতে পারেন। রাজ্য সরকারকেও আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিযায়ী সংকটে কিছু লোকের নেতিবাচক মানসিকতাকেও দায়ী করল কেন্দ্র

বিচারপতিরা বলেন, “হাঁটতে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখতে পেলেই আগে তাঁদের আশ্রয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং তারপর খাবার ও অন্যান্য সুবিধা দিতে হবে। সমস্ত জায়গায় পুরো তথ্য প্রকাশ করতে হবে”।

Advertisement

আদালত আরও জানায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে বাস বা ট্রেনে কোনও ভাড়া নেওয়া চলবে না। ভাড়ার অংশ বহন করবে রাজ্যও।

কেন্দ্র ও কয়েকটি বিরোধী দলের এই নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিক থাকা মহারাষ্ট্রের সঙ্গে, বেশ কয়েকদিন ধরেই রেলমন্ত্রকের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।  কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় ট্রেনের ব্যবস্থা না করার অভিযোগ তুলেছে রেল, অন্যদিকে, কেন্দ্রের অভিযোগ, ট্রেন রয়েছে, তবে যাত্রী দিতে পারেনি রাজ্য।

Advertisement

এদিন আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং ইন্দিরা জয়সিংহ উল্লেখ করেন যে, তাদের মোট ক্ষমতার মাত্র ৩ শতাংশ ব্যবহার করছে রেল যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাচ্ছে তাতে সবাইকে ফেরাতে ৩ মাস সময় লাগবে।

নিজে করে দেখান, করোনা সঙ্কটের সমাধান নিয়ে অমিত শাহকে মুখ্যমন্ত্রী, জবাবে কী বললেন অমিত শাহ

Advertisement

কপিল সিব্বল বলেন, “১৯৯১ এর জনগণনা অনুযায়ী, ৩ কোটির বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটা হবে প্রায় ৪ কোটি। যদি ২৭ দিনে ৯১ লক্ষ লোককে ফেরানো হয়, তাহলে বাকিদের ফেরাতে আরও ৩ মাস সময় লাগবে”।

এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার, অর্থের জোগান, আশ্রয় এবং পরিবহনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কঠিন প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট, এদিন তারা জানায়, “বড় সমস্যাটা হল পরিযায়ীদের পরিবহন করা এবং তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা”।

Advertisement

বিচারপতিদের প্রশ্ন, “প্রথম সমস্যাটা হল পরিবহন। নথিভুক্ত হওয়ার পরেও তাঁরা অনেক সপ্তাহ অপেক্ষা করেছেন। তাঁদের থেকে কি কোনও অবস্থায় কোনওভাবে টাকা নেওয়া যায়”।

আদালত বলে, “আমরা মানছি যে, একইসময়ে সবাইকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে”।

Advertisement

লকডাউন ৪ শেষ হলে কী পদক্ষেপ, আলোচনায় ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতর

কেন্দ্রের তরফে ট্রেন চালু করা হয়েছে, এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, “সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং আগে সুপ্রিম কোর্ট পুরোপুরি সন্তুষ্ট ছিল”।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, ক্ষুদার্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্টেশনে খাবারের গাড়ি লুঠ করার অভিযোগ ওঠে। তীব্র তাপদাহে খাবার ও পানীয় জল ছাড়া অনেক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বুধবার মৃত পরিযায়ী শ্রমিক মায়ের পাশে বাচ্চা শিশুকে কাঁদতে এবং জাগানোর চেষ্টার ভিডিও ভাইরাল হয়।   

বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা ট্রেনে উঠতে পারেননি। মুম্বই রেলস্টেশনের সামনে বহু মানুষের বিড় জমে এবং নিজেদের নাম নথিভুক্ত করায় ব্যর্থ হলে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।

অনেকেই নিরুপায় হয়ে পথে নেমেছেন, নিজেদের শেষ সম্বলটুকু বেআইনিভাবে ট্রাক ও অটো রিক্সায় দিয়েছেন তাঁরা। অনেকে হেঁটেই পাড়ি দিয়েছেন।

Advertisement