শীর্ষ আদালত বিবেচনার জন্য পুনরায় বুধবার দিনটিকে ধার্য্য করেন (ফাইল)
নিউ দিল্লি: মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল দেখে একটাই কথা উচ্চারণ করেছেন, ''শকিং''।বিনা যুদ্ধে হাজারেরও বেশি আসন লাভ করা, এই ঘটনা প্রমান করে দিচ্ছে যে, রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।
''এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই। প্রতিযোগিতা ছাড়াই সহস্রাধিক আসনের ফলাফল প্রকাশিত হয়ে গেছে,'' জানালেন বেঞ্চের মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ.এম. খান্বিলকার এবং বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড়।
বিনা যুদ্ধে 34 শতাংশ আসন লাভ এই কথাই প্রমান করে দিচ্ছে যে, পঞ্চায়েত ভোটের সময় সংবিধানের নবম অধ্যায়ের কথাটা বোধহয় বঙ্গ নির্বাচন কমিশন ভুলেই গেছিল। বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে বিনা যুদ্ধে প্রাপ্ত আসন গুলি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট নিরপেক্ষ ভাবে হয়েছিল কিনা তা নিয়ে বিরোধীরা বহুবার বিভিন্ন ভাবে এই প্রশ্ন করেছে, কিন্তু 34 শতাংশ আসনে কোনো প্রতিদন্দ্বি নেই, তা দেখে এই প্রশ্ন যেন আরও বেশি করে দানা বাঁধতে শুরু করেছে।এই বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য আদালত পুনরায় বুধবার দিনটিকে ধার্য্য করেছে।
প্রধান বিচারপতি মিশ্র জানিয়েছেন যে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল যে, ভোট গ্রহণ পর্ব ''সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ'' ভাবেই শেষ হয়েছে। যদিও বিরোধী পক্ষ বারংবার দাবি করেছে যে, মোট 48000 আসনের মধ্যে 16000 গুলিতে কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে কোনো রকম সঠিক তথ্য প্রদান করতে অসমর্থ থেকে গেছে।
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে আগেই থেকে যথেষ্ট অরাজকতার অভিযোগ উঠেছিল।এমনকি ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা করতে দেওয়া হচ্ছে না, এমন অভিযোগ করা হয়েছিল। এর ফলে উচ্চ আদালত ই-নমিনেশনের আদেশ দিলেও শীর্ষ আদালত তাতে স্থগিতাদেশ জারি করেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)