দলিত আইন নিয়ে ২০১৮ সালের দেওয়া নির্দেশ প্রত্যাহার করল Supreme Court
নয়া দিল্লি: ২০১৮ সালের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিল সুপ্রিম কোর্ট । ওই সময় শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দেওয়া এক নির্দেশের ফলে দেখা যায় যে দলিতদের রক্ষা করার আইনের বিধান নষ্ট হয়েছে। এর অর্থ তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ আইন), ১৯৮৯ এর (Dalit's Protection Law) অধীনে করা মামলাগুলিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রেফতারের নিষেধাজ্ঞা এবং আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত গ্রেফতারের আগে অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা প্রত্যাহার করা হল। এর ফলে এখন থেকে আর এফআইআর দায়ের করার জন্যে প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজন হবে না। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে সাম্য ও নাগরিক অধিকারের জন্য এসসি / এসটি-দের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। "তাঁদের সঙ্গে এখনও বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। অস্পৃশ্যতা এখনও পুরোপুরি যায়নি এবং দিন আনি দিন খাই মানুষদের কাছে এখনও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সরবরাহ করা হয়নি", পর্যবেক্ষণ আদালতের।
মধ্যযুগীয়! মুখে কালি, জুতোর মালা গলায় যুবতী ও দলিত যুবককে ‘সবক' শেখাল গ্রামবাসী
শীর্ষ আদালতের এই রায়টি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে অনেকটাই স্বস্তির, কেননা কেন্দ্র আগে বেশ কয়েকবার সুপ্রিম কোর্টকে তার আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিল।
গত বছরের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারকের বেঞ্চ নির্দেশ দেয় যে, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এসসি / এসটি আইনের অপব্যবহার বা দলিতদের হয়রানির অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না এবং আধিকারিকদের একটি প্যানেলের প্রাথমিক তদন্তের পরেই এফআইআর দাখিল করা যেতে পারে।
ভিডিও: একজন দলিতকে বেঁধে, খুঁচিয়ে মারা হল গুজরাটে
এই নির্দেশের পরেই তফসিলি জাতি ও তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায় ব্যাপক প্রতিবাদ করে। এরপরেই এই রায়ের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন করে কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে যায়। কেন্দ্র ২০১৮ সালের মার্চ মাসে দেওয়া ওই রায়কে উপেক্ষা করার জন্য আইনটিও সংশোধন করে তার কঠোর শর্ত ফিরিয়ে আনে।
শীর্ষ আদালত আজ (মঙ্গলবার) বলেছে, "এই আইনের অপব্যবহার বন্ধ করা আইনের বিধানকে হ্রাস করার ভিত্তিতে হতে পারে না"।
জেনে নিন বড় খবরগুলো: