রাজধানী দিল্লি এবং তার আশপাশের এলাকা ছাড়া দেশের অন্য অংশে পুরনো আতস বাজি ব্যবহারের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে দূষণের কারণে দিল্লিতে শুধু পরিবেশ বান্ধব গ্রিন ক্র্যাকারের ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি এবং পন্ডিচেরিতে উৎসবের দিন গুলোয় দু'ঘণ্টা বাজি ফাটানোর নির্দেশ দিল আদালত। তাছাড়া অনলাইনে বাজি বিক্রির উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা বহাল থাকছে। তামিলনাড়ু সরকারের তরফে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বাজি ফাটানোর জন্য বাড়তি সময় চেয়ে আবেদন জানানো হয়। আবেদনে বলা হয় দীপাবলি পালন এবং বাজি ফাটানোর ব্যাপারে প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব নিয়ম আছে। সেই সময় বাজি ফাটাতে না পারলে নিয়ম নীতির পালন হয় না যথাযথ ভাবে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে বাজি বিক্রেতাদের সংগঠন বলে দীপাবলির আগে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি আছে তার মধ্যে চহিদা মতো পরিবেশ বান্ধব তৈরি করা অসম্ভব। আদালত জানায় পরিবেশ বান্ধব গ্রিন ক্র্যাকার বিক্রি শুধু দিল্লির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক।
এর আগে কয়েকটি শর্ত মেনে বাজি বিক্রিতে সম্মতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কম দূষণ ছড়ায় এমন বাজি বিক্রির অনুমতি দেয় আদালত। বলে দীপাবলীতে সন্ধ্যা 8 টা থেকে রাত 10 টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। বড়দিনের ক্ষেত্রে সময়টা দুপুর 1:55 টা থেকে রাত 12:30টা।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেছিল, সংবিধানের 21 নম্বর ধারায় সকলেরই জীবন ধারনের অধিকার আছে। সে কথা আতস বাজি প্রস্তুতকারকদের ক্ষেত্রেও একই ভাবে প্রযোজ্য।