বেসরকারি সংস্থার নিয়োগকারীদের জন্যে খানিকটা স্বস্তির খবর। লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) সময় যে বেসরকারি সংস্থাগুলো কর্মীদের বেতন দেয়নি, তাঁদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, সাফ জানালো সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত বলেছে যে, প্রয়োজনে বেতন দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের কর্মচারী ও নিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনাও চালানো যেতে পারে। তারপর সেই আলোচনার বিষয়ে লেবার কমিশনারদের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
"উদ্বেগের কিছু নেই", অর্থনীতি ঠিক আছে, রামচন্দ্র গুহকে জবাব দিলেন নির্মলা সীতারামন
গত ২৯ শে মার্চ কেন্দ্র সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় যে, লকডাউনের সময় কর্মচারীদের পুরো বেতন দেওয়া বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই বিজ্ঞপ্তিতে সকল নিয়োগকারীকে কোভিড- ১৯ এর সংক্রমণ রুখতে জারি করা লকডাউন চলার সময়ে যে সব সংস্থা বন্ধ ছিল তাঁদের কর্মীদের কোনও কাটছাঁট না করেই বেতন দেওয়ার কথা বলা হয়। এবার ওই নির্দেশিকার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুললো আদালত। এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্যে কেন্দ্রকে আরও ৪ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে পাক প্রধানমন্ত্রীর সাহায্যের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল ভারত
"এটিকে কখনোই না মেনে পারা যায় না যে কর্মী এবং নিয়োগকারী, দু'তরফেরই একে অপরকে প্রয়োজন আছে।তাই ওই ৫০ দিনের বেতন দেওয়া সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত", জানায় বিচারপতি অশোক ভূষণ, সঞ্জয় কিশান কৌল এবং এমআর শাহের বেঞ্চ।
২৯ মার্চ জারি করা কেন্দ্রীয় নির্দেশের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থার অ্যাসোসিয়েশন এবং লুধিয়ানা হ্যান্ড টুলস অ্যাসোসিয়েশন, ফিকাস প্যাকস এবং অন্যান্য কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার করা আবেদনের ভিত্তিতেই ওই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে দেশের শীর্ষ আদালত। আগামী জুলাইয়ের শেষে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।